নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে মিরপুরে। বৃহস্পতিবার বিকালে মিরপুর-১৩ ও ১৪ নম্বরে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন কর্মসূচিতে এ হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিরপুর-১৪ নম্বরে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন কর্মসূচি চলছিল। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শিক্ষার্থীরাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। পুলিশ সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু যুবককেও লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের পেটাতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, পুলিশের সঙ্গে যে যুবকরা শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছিল তারা ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানবন্ধন করছিলাম। পুলিশ হঠাৎ এসে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করেছে। পরে তাদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগও যোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার ইয়াসমীন সাইকা পাশা বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলার চেষ্টা করে। পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে।
তিনি বলেন, পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখন তারা সরে ১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে যায়।
হামলায় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হতে কারা ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
সাদাত কবির রুদ্র নামের এক কিশোর দাবি করেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ তার ওপর হামলা করেছে এবং তার বোনের ওপর মিরপুর ১০-এ যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। তাদেরকে রিকশা থেকে টেনে নামানো হয়েছে এবং তাদের ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে যাতে ছবি তুলতে না পারে।
এ সময় হামলাকারী যুবকরা এক সাংবাদিকের ভিডিও ক্যামেরা রাস্তায় আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। হামলার ঘটনা ভিডিও করার কারণে সাংবাদিকের হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে ১০ নম্বর ও আশপাশের সড়কে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।