কথিত আছে, টি-টোয়েন্টি তরুণদের খেলা। কথার বাইরে না গিয়ে তামিমের সাথে সূচনার জন্যে বেছে নেয়া হল এক সময়ের সেনশেসন সৌম্য সরকারকে। তিনি আসলেন, দেখলেন, ফিরে গেলেন! এই আশা থেকে ফিরে যাওয়ার মাঝের ব্যপ্তি মাত্র এক বল! ক্রিকেটের বেসিক যারা শিখছেন তারাও বোধয় লজ্জা পাবে আউট হবার ধরণটা দেখে। সোজা উইকটে বল, যেখানে বোধ করি বোলারও উইকেট আশা করেননি, সেটি খেলতে গিয়েই বোল্ড সময়ের অন্যতম প্রতিভান ব্যাটসম্যান! এ খেতাবটা যিনি দিয়েছেন তার এখন প্রকাশ্য হেনস্তা সময়ে দাবি।
সোজা ব্যাটে যিনি ডিফেন্স দিতে জানেন না, তাকে প্রতিবান বলা বোধ করি শব্দটার প্রতি নিদারুণ মশকরা। পঞ্চপান্ডবের চারজন ছিলেন দলে; এদের মধ্যে এক মাহমুদুল্লাহয় মান বাঁচিয়েছেন। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের পক্ষে নিয়মিতই সুপারম্যান সুলভ ইনিংস খেলা সম্ভব না। আর যখনই তারা ব্যর্থ হচ্ছেন, মুখ থুুবড়ে পড়ছে বাংলাদেশের ইনিংস। এই অবস্থায় নিয়মিত সাফল্য আশা করাও পাপসম।
বর্তমান বিবেচনায় ১৪৩ কোনো টার্গেটই না। কার্টেল ওভারে সেটি যখন হয়ে যায় ৯৩ তখন বোলারদের কিছু করারও থাকে না। মাশরাফি যেখানে তিন পেসার নিয়ে সফল, সেখানে সাকিব কেন স্পিনে ভরসা নিয়ে মাঠে নামলেন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বোর্ডে দেড়শ’র কম রান দেখার পর সে আলোচনায় আর আগ্রহ নেই। ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে নূন্যতম লড়াই যখন প্রত্যাশিত তখন খামখেয়ালিপনার চরম দৃষ্টান্ত শুধু হতাশই না, এদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয়।