আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, দোষী ব্যক্তিদের সাজা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ ও সড়কে হত্যারোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এর কোনও প্রতিকার আদৌ দেখছি না। সরকার এসব ব্যাপারে নির্বাক; নৌ-মন্ত্রীর বক্তৃতা কী প্রমাণ করে?—এসব কি আমাদের ভাবাচ্ছে না?
মীম আরাফাত মামুন নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের অধিকারটুকু না বুঝি, পুলিশ যদি কলেজে গিয়ে আমাদের পিটায়; আপনারা জানেন, রমিজ উদ্দিন কলেজে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করেছে পুলিশ—এগুলো যদি চলতে থাকে, তবে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে আমাদের। এইখানে অ্যাক্সিডেন্টের দোষ যে রাস্তা পার হচ্ছে তার, বাস যদি চাপা দেয়, তবে দোষ হবে আপনার বা রিকশাওয়ালার। বাসে বসে আছেন আপনি, দুর্ঘটনা ঘটলে দোষ আপনার; চালকের না।’
প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু রায়হান খান শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল :
১. হত্যাকারী চালক ও এর মালিকপক্ষকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে
৩. ভবিষ্যতে সড়ক-দুর্ঘটনা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় উড়াল সেতুর পাশে রাস্তায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দেন জাবালে নূর পরিবহনের চালক। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও নয়জন আহত হয়। ঐদিন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু প্রসঙ্গে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের তাতিয়ে তোলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।