প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১৩০, তারপরের ম্যাচে ৫৪ এবং সর্বশেষ ম্যাচে ১০৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সোনালী রোদের মতই হাসলো তামিমের ব্যাট। শেষ ইনিংসটি খেলার পথে আরো একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকারী দলের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বাধিক রান এখন তামিমের। ধারাবাহিকতার একটি পুরষ্কারই বলা যায় এটাকে।
প্রথম ম্যাচে তামিমের স্লথ ব্যাটিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিস্তর সমালোচনা হলেও ইনিংসটির কার্যকারিতা বোঝা গিয়েছে ম্যাচের শেষেই।
দ্বিতীয় ম্যাচেও ৫৪ রানের ইনিংসটি গড়ে দিয়েছিল লড়াই করার ভিত। এবং শেষ ম্যাচে আরো একটি কার্যকর ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জিতিয়ে এনেছেন সিরিজ।
তিনটি ম্যাচের শুরুতেই উইকেট হারানোর ফলে তামিমের কাছে দাবিটা ছিল বড়। প্রথম ম্যাচে সাকিবের সাথে রেকর্ড ২০৭ রান, পরের ম্যাচে ৯৭ এবং শেষ ম্যাচে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতেও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তামিম।
চলতি বছরে ৮ ইনিংসে ৮৯ দশমিক ৩৩ গড়ে ৫৩৯ রান করেছেন তামিম। দুটি সেঞ্চুরির সাথে রয়েছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি। ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনবার। ম্যান অফ দ্য সিরিজ একবার। পরিসংখ্যান অনেক সময় বিভ্রান্ত করলেও তামিমের হয়ে যেন নিজেই সাক্ষ্য দেয়ার কাজটি করছে।
এ বছর এখন পর্যন্ত শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই দুটি ম্যাচে হাসেনি তামিমের ব্যাট। ভয়াবহ একটি টেস্ট সিরিজের পরেই এমন ব্যাটিং নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তামিম এখন যেভাবে খেলছেন সেটি ধরে রাখতে পারলে তার তো বটেই বাংলাদেশের জন্য সেটি দারুণ হবে।
তীব্র আলোর মাঝেও কালো যে রেখাটি চোখে লাগছে সেটি হল, ইনিংস দাঁড় করানোর পর বাজে শট খেলে আউট হবার বদ অভ্যাসটা। ব্যাটিংয়ের ধরণ বদলানোর সুফল যেমন রেকর্ড বইয়েই দেখা যাচ্ছে তেমনি এ জায়গাটায় উন্নতি করতে পারলে আরো বেশ কিছু দারুণ ইনিংস যে আসবে তা বলাই যায়।
তামিমের ব্যাট হাসেলই যে বাংলাদেশ হাসে তার প্রমাণ শেষ ম্যাচটি। ক্যারিয়ারের ১১ সেঞ্চুরির মধ্যে ৮ বারই জয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এমন তামিমকেই তো চায় বাংলাদেশ।