রাস্তায় ট্রাফিকের মাঝখানে অফিসে কিংবা নিজের বাড়িতে, মাথাব্যথার মোকাবেলা করা কখনোই সহজ হয় না। বেশির ভাগ সময়ই মাথাব্যথাকে আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা মনে করি, এক কাপ কফি অথবা কিছু কাজের মধ্যে নিজেদেরকে ডুবিয়ে দিলে মাথাব্যথা আর থাকবে না। কিন্তু তা হয় না আর এই মাথাব্যথার জন্য ঠিক করে কাজ করা যায় না অনেক সময় হাতের কাছে ওষুধ থাকে না। এবং রাতে বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। তাই ঘরের মধ্যে থাকা কিছু জিনিস দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মাথাব্যাথার ওষুধ। তাছাড়া আগের দিনে মানুষেরা এসব ব্যবহারেই ভাল থাকতেন। তবে মাঝেমধ্যে, এই দ্রুত নিরাময়ী উপায়গুলো কাজ করলেও সব সময় করে না। তখন ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নেয়া ছাড়া গতি নেই।
মাথাব্যথা নিরাময়ের সবচেয়ে ভাল প্রতিকার হল মাথার ম্যাসেজ। ডিহাইড্রেশন হল পিত্ত টাইপের মাথাব্যথাগুলির অন্যতম কারণ। মাথাব্যথা দূর করার জন্য জল ও স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন। মাঝে মধ্যে, ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশির সঙ্গে মাথা ব্যথা হয়। এই সময়ে, ভেষজ তেল বা ঘি নাকের স্বাভাবিক বায়ু চলাচলে অত্যন্ত সাহায্য করে।
ব্রাহ্মী : এটি স্ট্রেস ও বিষণ্নতা কমানোর জন্য পরিচিত। ব্রাহ্মীর রসের কয়েকটি ড্রপ এবং ঘি নাকের মধ্যে রাখলে মাথাব্যথা কমাতে পারে। ব্রাহ্মীশাকের রস তেল মাথায় ম্যাসাজ করা অত্যন্ত উপকারী।
চন্দন : মাথাব্যথা নিরাময় করার জন্য অত্যন্ত পুরোনো প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি কপালের উপর চন্দন বা চন্দন কাঠের পেস্ট প্রয়োগ করা। চন্দন গুঁড়ো আধ চা চামচ নিন এবং এতে কিছুটা জল মেশান। মিশ্রণটি আপনার কপালে প্রয়োগ করুন এবং এটি অন্তত ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
টগর : টগর একটি লোমশ বহুবর্ষজীবি ঔষধি যা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করা হয়। আপনি ম্যাসেজের জন্য ঔষধযুক্ত তেল ব্যবহার করতে পারেন, অথবা চায়ের মধ্যে সামান্য পরিমাণ মেশাতে পারেন।
ছোট এলাচ : সামান্য ছোট এলাচ চিবিয়ে মাথা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
রক সল্ট : মাঝে মাঝে, সাধারণ লবণের পরিবর্তে রক সল্ট ব্যবহার করে মাথা যন্ত্রণার প্রতিকার করা হয়। উষ্ণ গরম জলে এক চিমটে রক সল্ট মিশিয়ে পান করলে বিভিন্ন ধরণের মাথা যন্ত্রণার থেকে রেহাই পাওয়া যায়।