ভারত নিয়ন্ত্রণাধীন জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। প্রশ্ন উঠেছে গতকাল যখন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লাহ গঠিত হতে যাওয়া বিজেপি বিরোধী নতুন জোটে যোগ দিতে এর নেতা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করলেন, এমন সময় মুখ খুলতে কি এক প্রকার বাধ্য হলেন মুফতি? শুক্রবার ওমর অাব্দুল্লাহ কলকাতায় নবান্ন হাউজে এসে মমতার সাথে সাক্ষাৎ করে গেছেন।
শনিবার দলীয় বৈঠকের পর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী বলেন, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়াটা তার কাছে ছিল অনেকটা বিষের পেয়ালা পান করার মত। তার বাবা মুফতি মুহম্মদ সৈয়দ যখন বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ছিলেন তখনই বারবার তাঁকে সবধান করেছিলেন মেহবুবা। কারণ বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল পিডিপি নেত্রীর। কিন্তু তার বাবা মুফতি মুহম্মদ সৈয়দ সেকথা শোনেননি। বলেছিলেন কাশ্মিরবাসীকে শান্তি দেওয়ার জন্যই তিনি এই জোট গড়ছেন।
বাবার মৃত্যুর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন। কিন্তু সেই পদে বসতে নাকি রাজি ছিলেন না মেহবুবা মুফতি। শুধুমাত্র বাবার ইচ্ছে পূরণের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে মার্চে উপত্যকার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মুফতি। গত মাসেই অবসান হয় সেই জোট সরকারের। বর্তমানে সেখানে চলছে রাষ্ট্রপতির আজ্ঞাবহ গভর্ণরের শাসন।
বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করার পরেই কাশ্মীরে বিজেপি–পিডিপি জোট সরকারের পতন ঘটে। মুফতির অদক্ষতাকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে বিজেপি। মুফতি অবশ্য দাবি করছেন বিজেপির সঙ্গে তার দলের জোট তার কাছে ছিল বিষ পান করার মত। কাশ্মিরের জন্য সেই বিষ তিনি পান করেছেন। তার জন্যই বিজেপি কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদায় হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। এমনকি রমজান মাসে অভিযান বিরুত তার উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মুফতি।
শান্তি ফেরানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, সোনা দিয়ে রাস্তা মুড়ে দিলেও কিছু হবে না একটি মৃত্যু কাশ্মিরকে আবার অশান্ত করে তুলবে। লাহোরে গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্যও মোদিকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন। ইমরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারতের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা। এমন মন্তব্যও করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।