পাকিস্তানে হয়ে গেল বহুল আলোচিত নির্বাচন। প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর বিজয় নিয়ে নিশ্চিত ছিল। ঘটেছেও তাই। সংবাদে প্রকাশ, পিটিআই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মসনদে আরোহনের যোগাড়যন্ত্র আগেই শেষ করেছিল। ইতোমধ্যে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করলেও ইমরান খানকেই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
আত্ম-অহমিকায় ভরপুর ইমরান বলেছেন তিনি কারো প্রতি প্রতিহিংসা দেখাবেন না। একজন সাধারণ পাকিস্তানিকে ইমরান খান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বলবে, তিনি অন্তত দুর্নীতিবাজ নন; ব্যক্তিগত আর কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষাও তাঁর নেই। তাই দেওলিয়াত্বের দোড়গোড়ায় দাঁড়ানো পাকিস্তান তাঁর কাছ থেকে ভাল কিছুই আশা করে।
‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার প্রত্যয়ে প্রণীত ইমরান খান তাঁর নির্বাচনী ইশতিহারকে ‘রোড টু নয়া পাকিস্তান’ বলে নামকরণ করেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে পিটিআই পররাষ্ট্রনীতির দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে দ্বি-পাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে পারষ্পরিক আদান-প্রদান, যৌথস্বার্থ এবং আন্তজার্তিক কূটনৈতিক রীতিনীতিকে পিটিআইয়ের মূলমন্ত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর জন্যে ব্যাপক কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ বহুজাতিক প্লাটফর্মগুলোতে পাকিস্তানের অবস্থান পাকাপোক্ত করা, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানো, রাশিয়াকে নতুন সহযোগী হিসেবে বিবেচনার বিষয়ে উল্লেখ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আদান-প্রদান ও পারস্পরিক স্বার্থ প্রাধান্য পাবে বলে ইশতেহারে বলা আছে। নির্বাচনে জয়ী হবার পর, ইমরান খান তাঁর ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতাকে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চেয়েছেন। এতে ভারত একপা এগুলো তিনি দুপা এগুবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইমরানের জীবনের নতুন ইনিংস বাংলাদেশের জন্য কি কোনো মাহাত্ম্য বহন করে? কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সাথে ‘নয়া পাকিস্তান’-এর সম্পর্ক? সামরিক প্রভাব-বলয়ে থেকে দুদেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহায় ইমরান কতটা উদ্যোগী হবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে আরো অনেকটা সময়।
রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ইতিহাস থেকে নিজ জনগণকে অন্ধকারে রেখেছে। পাকিস্তানি নাগরিকরা ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা বয়ান শিখে বড় হয়। তারা জানেন ভারত পাকিস্তানকে ভেঙ্গে দু’ টুকরা করিয়েছে। বেশিরভাগই জানেন না ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল এবং সামরিক জান্তা জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গণহত্যার পথ বেছে নেন। তাতে করে সাধারণ পাকিস্তানিদের অনেকেই বাংলাদেশকেও একটি শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। খোদ আইনপ্রণেতারা পাক-পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। বিগত বছরগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলাকালে একাধিকবার পাক-পার্লামেন্টে তারা নির্লজ্জভাবে কুখ্যাত অপরাধীদের পক্ষে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বিবেচনা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার পাক-রাষ্ট্রদূতকে তলব করে শাসিয়েছেন। প্রায় সবক্ষেত্রেই পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বিবেচনায় রেখেছে।
তিনটি বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরৎ নেয়া, বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং সম্পদের বন্টন। অতীতে পাকিস্তান বিভিন্ন সময় পাকিস্তান সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরা আশায় বুক বেধেঁ আছেন। এ যাবৎ অনেকবার ইমরান খান বাংলাদেশের জনগণকে নিজের ভ্রাতা বলে দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল বলে মনে করেন। কাজেই, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরৎ নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতেই পারেন
বর্তমানে বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ক চুড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে পাকিস্তান আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের অংশগ্রহণে অনীহা আঞ্চলিক সংস্থার অস্তিত্বকের হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান ২০১৭ সালে ঢাকায় আয়োজিত আন্তজার্তিক পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠক বর্জন করেছিল। একাধিকবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করেছে। দেশে জঙ্গি অর্থায়নে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বরাবরই দায়ী করে আসছে। এজন্য বহিঃস্কার করা হয় পাকিস্তানি কুটনীতিককে। দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এতটা খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, উভয় দেশ একে অপরের পেশাজীবীদের জাতিসংঘের হয়েও নিজ নিজ দেশে কাজ করতে ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে!
ঠিক এরকম একটি বৈরি সম্পর্কের সময়ে ইমরান খান ক্ষমতায়। বাংলাদেশের অনেকেই ইমরান খান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। নামবিভ্রাটের কারণে বাংলাদেশের জনৈক বাদল ফরাজী বিনা দোষে খুনের মামলায় দশ বছর কারাভোগ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। ২০০৮ সালের ৬ মে নয়াদিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধা খুনের মামলায় বাদল সিং নামের এক আসামিকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ। ওই বছরের ১৩ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ভুল করে বাদল ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। ইংরেজি বা হিন্দি জানা না থাকায় তিনি বিএসএফ সদস্যদের নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। তাতেই বাদল ফরাজীর করুণ পরিণতি। নাম বা টাইটেল বিভ্রাটে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ বিপরীতভাবে প্রতিভাত হতে পারে। এমনটিই ঘটেছে ইমরান খান নিয়াজীর ক্ষেত্রে।
একাত্তরে পাকবাহিনীর অত্যাচারের বিষয়ে তিনি একাধিকবার দুঃখ প্রকাশও করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ইমরান খান নিয়াজীকে নানা সময়ে জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা তথা ভ্রাতষ্পুত্র বলে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। কোনোরকম তথ্যসূত্র ছাড়াই তিনি বাংলাদেশ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার বিরোধী বলে চিহ্নিত হয়েছেন। তার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে উপস্থাপণ করে বলা হয়েছে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুশমন!
অনেক পাকিস্তানি এখনো জেনারেল নিয়াজীকে “টাইগার নিয়াজী“ বলে ডাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে নিয়াজী ইতিহাসের ঘৃণিত একজন আত্মসমর্পণকারী হিসেবে বিবেচিত। তাই ইমরান খান ‘নিয়াজী’ বাঙ্গালীদের অবধারিত ঘৃণাই কুড়াবেন। অথচ এই নিয়াজী সেই ‘নিয়াজী’ নন! ইমরান খান নিয়াজী জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা নন। তবে তিনি নিয়াজী-পশতুন উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে তেমন কোনো পারিবারিক সম্পর্ক খুজেঁ পাওয়া যায়নি। ইমরানের খানের চাচাবর্গও নিয়াজী।
এবারে আশা যাক বাংলাদেশ বিষয়ে ইমরান খানের মনোভঙ্গি কেমন? ইমরান খান বরাবর একাত্তরের গণহত্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি একাধিকবার পাকিস্তান সরকারকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বলে সে দেশের সাংবাদিক হামিদ মীর জানিয়েছেন। ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর নওয়াজ শরীফ সরকারের নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে দেশকে অচল করে দেবার হুমকি ইমরান খান দিয়েছিলেন। এতে তিনি পার্লামেন্টের ভিতরে এবং বাইরে তীব্র আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এর দুদিন পর ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে ইমরান খান একাত্তরে বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তানের করা অন্যায়ের কথা শিকার করেন। তিনি হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের দাবী জানান। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে এসে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা অকপটে বিভিন্ন জায়গায় তিনি বলেছেন।
বাংলাদেশে নিয়াজী ইতিহাসের ঘৃণিত একজন আত্মসমর্পণকারী হিসেবে বিবেচিত। তাই ইমরান খান ‘নিয়াজী’ বাঙ্গালীদের অবধারিত ঘৃণাই কুড়াবেন। অথচ এই নিয়াজী সেই ‘নিয়াজী’ নন! ইমরান খান নিয়াজী জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা নন। তবে তিনি নিয়াজী-পশতুন উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে তেমন কোনো পারিবারিক সম্পর্ক খুজেঁ পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কতগুলো অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। এসবের মধ্যে তিনটি বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরৎ নেয়া, বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং সম্পদের বন্টন।
অতীতে পাকিস্তান বিভিন্ন সময় পাকিস্তান সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু, পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ জটিলতায় পুরোপুরি কাজটি সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরা আশায় বুক বেধেঁ আছেন। এ যাবৎ অনেকবার ইমরান খান বাংলাদেশের জনগণকে নিজের ভ্রাতা বলে দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিজের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল বলে মনে করেন। কাজেই, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরৎ নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতেই পারেন। এখানে উল্লেখ্য, পুনর্বাসনের জন্য তাঁর অর্থের অভাব হবে না। কারণ, রাবেতা আল ইসলাম এবং ইসলামী দেশের সংস্থা ওআইসি এ বিষয়ে অনেক আগেই অর্থ বরাদ্দ রেখেছে।
সরকার একাত্তর সালে গণহত্যার জন্য বরাবরই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে রাজি করাতে এটিই বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত সময় হতে পারে। কারণ, ইমরান খান এ বিষয়ে অনেকবার নিজ সরকারকে ঠিক এই কাজটিই করতে বলেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বাদেও একাত্তর সালে ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া অর্থ বাবদ পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের কাছে এই অর্থ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তান বাংলাদেশের এই দাবিকে বাক্সবন্দী করে এবং এই বিষয়ে আলাপ থেকে নিজেদের দূরে রাখে। এছাড়া জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী একাত্তর সালে বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ ডলার। এসব দাবিদাওয়ার ধারে-কাছে না যেয়ে ২০১৬ সালে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (৯.২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রূপি, ৬.৯২ বিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা) টাকা পাওনা আছে দাবি করে তা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইমরান খানের সরকার কি উদ্যোগ না তা এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ককে দেখতে হবে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতেই। ট্র্রাম্পকালীন সময়ে চীন দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের ভূমিকা জোরালো করেছে।
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদে সামরিক বাহিনী বিষয়ে দিক-নির্দেশনা আছে। এই অনুচ্ছেদের উপধারা (৩)-এর দোহাই দিয়ে একাধিকবার সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আং সাং সুচির সরকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে কেমন নাকানিচুবানি খাচ্ছে তা সবারই জানা। সুচির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) একদম শিক্ষানবিশ। সামরিক সরকার যেনতেন উপায়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছে সুচির কাঁধেই বন্দুক রেখে। একইভাবে, রাষ্ট্র পরিচালনায় ইমরান খান এবং পিটিআই নতুন। তাই এখন দেখার বিষয় তারা কিভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতন দক্ষ, পরিপক্ক, কূট, নির্মম দানবের সাথে কতটা পেরে ওঠেন।