পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচন চলছে; লড়াই নওয়াজ-ইমরানে

পাকিস্তানে ঐতিহাসিক নির্বাচন চলছে; লড়াই নওয়াজ-ইমরানে

শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক নির্বাচন। সেনাবাহিনীর অদৃশ্য সেন্সরশিপের ছায়ায় সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে পাকিস্তানে। গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, নওয়াজ শরিফের দলের সঙ্গে ইমরান খানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অনেকে বলছেন, সেনাবাহিনীর প্রচ্ছন্ন হাত মাথায় থাকায় ইমরানই বাজিমাত করবেন। সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে আবার ভোট হচ্ছে। তাই ভোটের ফলাফল যাইহোক নয়া প্রধানমন্ত্রী পাবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় আইনসভার ২৭২ আসনে ভোট চলছে। বেলুচিস্তানের ১৬, সিন্ধে ৬১, পাঞ্জাবে ১৪১, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ইসলামাবাদে ৩, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ৩৯ এবং স্বশাসিত উপজাতি অঞ্চলের ১২টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় আইনসভার মোট আসন ৩৪২। যদিও ভোট হচ্ছে ২৭২ আসনে। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৬০ আসন এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ১০ আসন। সরাসরি ভোটে প্রাপ্ত আসনের সমানুপাতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ভাগ হয়। ফলে ২৭২ আসনের মধ্যে ১৩৭টি আসন পেলেই জয় নিশ্চিত। অন্যদিকে দুর্নীতির দায়ে জেলে নওয়াজ শরিফ। তার ছবিকে সামনে রেখেই ভোটে লড়ছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন)। দুর্নীতির দায়ে আদালতের নির্দেশে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারিরও দেশ ত্যাগে নিষেধােজ্ঞা জারি রয়েছে।

এমতাবস্থায় মসনদের লড়াইয়ে রয়েছেন প্রধানত তিন নেতা পিএমএলএন নেতা শাহবাজ শরিফ (নওয়াজ শরিফের ভাই), পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের নেতা ইমরান খান এবং পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

ভোটের বাজারে নাকি উড়ে যাবে ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম খানের সব অভিযোগ। এছাড়া ইমরানের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ জারদারি এবং শরিফের গায়ে দুর্নীতির দাগ। এদিকে সেনা সমর্থন করায় ক্যাপ্টেন বাজিমাত করতে পারেন বলে আশায় তেহরিক–ই–ইনসাফের কর্মী–সমর্থকরা।

পাকিস্তানের ভোটে এবার বড় সংখ্যায় নির্দলীয় প্রার্থীরাও লড়ছেন। তাই জোটের সরকার হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আর সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেনার সোনায় সোহাগা। এমনিতেই প্রচারপর্বে জঙ্গি হামলায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তানের মাটি। তাই শেষ পর্যন্ত কতজন ভোটার বুথমুখো হন এখন সেটাই দেখার।