মোদির উপস্থিতিতে পাকিস্তান-ভারত সামরিক মহড়া!

মোদির উপস্থিতিতে পাকিস্তান-ভারত সামরিক মহড়া!

প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া দিতে চলেছে দুই চিরশত্রু পাকিস্তান ও ভারত। আগস্টে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এর ‘নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমন’ মহড়ার অংশ হিসেবে একসাথে সামরিক মহড়ায় দেখা যাবে দেশ দু’টিকে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ার উরাল পর্বতমালার পাদদেশে হতে যাওয়া মহড়াটিতে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো’র পাল্টা হিসেবে এসসিও গঠন করে ইউরেশিয়ার কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি পাকিস্তান ও ভারত সংগঠনটির সদস্যপদ লাভ করায় অন্যন্য সদস্য দেশগুলোর মতো তাদেরও সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে হচ্ছে। চীন, রাশিয়ার মতো দেশ এই মহড়ায় অংশ নিলেও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি থাকবে পাকিস্তান-ভারত যৌথ মহড়ার দিকে। কেননা, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে এক সাথে কাজ করলেও এই দুই দেশ কখনোই যৌথ সামরিক মহড়া করেনি।

তবে এই সামরিক মহড়ার কারণে দু’দেশের শত্রুতায় যে ভাটা পড়বে তা ভাবা বোকামি হবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য। এসসিও-র উদ্যোগ ইউরেশিয়া অঞ্চলে সন্ত্রাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে তেমন কাজ করবে বলে মনে করেন না ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

এই মহড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তেমন আগ্রহ প্রকাশ না করলেও উত্তেজনা প্রকাশ করছে চীন। পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলা চীন পালন করতে চাইছে অভিভাবকের ভূমিকা। চীনের সংবাদ মাধ্যম ‘চায়না ডেনলি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চিরশত্রু দু’দেশের সেনা একসাথে মহড়া দিলে সংঘাতের পরিবেশ কমতে পালে। এই মহড়ার ফলে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে ইতিবাচক যোগাযোগ তৈরি হতে পারে।

তবে সামরিক মহড়া হওয়ার আগে কোন কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ভুল হবে। পাকিস্তান এবং ভারত বলে কথা।