আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন ও রাতুল সরকার সমাবেশ শেষ করে সিএনজিতে চড়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে ধাওয়া দিয়ে বাটা সিগন্যালের সামনে তাদের আটক করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। হামলাকারী ওই দলে ছিলেন জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কর্মী। ছিনতাইকারী বলে কোটা আন্দোলনের নেতাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হামলাকারীরা।
সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত কয়েকজন আন্দোলনকারী। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার ও বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তার, মারধরের বিচারের দাবিতে তারা সমাবেশ শেষ করে ফিরছিলেন।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সর্বস্তরের ছাত্র সমাবেশের’ কর্মসূচি ছিল আন্দোলনকারীদের। সেখান থেকে ফেরার পথে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে একজন ও এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকায় দুজনকে পেটায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ চলাকালীন নেতা-কর্মীরা পাশেই অবস্থান নিয়েছিলেন।
বিকেল তিনটায় এই সমাবেশ শুরু হয়। এতে কোটা আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা রাশেদ খানের মা বক্তব্য দেন। তিনি কান্নাকাটি করে তাঁর ছেলেকে ফেরত চান। পরে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে কয়েকজন সম্প্রতি আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এ সময় ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে সমাবেশের আশপাশে দেখা গেছে। কেউ কেউ সমাবেশে ঢুকে মুঠোফোনে আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে নিচ্ছিলেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে সমাবেশ শেষ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি আগামী ২৫ জুলাই সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।