ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানকে বিমানে ঢাকায় আনা হচ্ছে

ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানকে বিমানে ঢাকায় আনা হচ্ছে

কুষ্টিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় আক্রান্ত রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোরের পথে রওনা দেন। তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। যশোর থেকে বিমানে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আদালত এলাকায় দীর্ঘ সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।

সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে আজ রোববার কুষ্টিয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। উভয় পক্ষের শুনানির পর বিচারক এম এম মোর্শেদে জামিন আদেশ দেন।

দুপুর ১টার দিকে তিনি সঙ্গীদের সাথে আদালত থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আদালত ভবনের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আটকে দেয়। এ সময় তিনি পুনরায় আদালতের এজলাসে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ সময় একই পরিবেশ বিরাজ করায় তিনি আদালতকে বিষয়টি জানান। পরে লিখিতভাবে পুলিশ প্রোটেকশনের জন্য আবেদন করেন তিনি। এ সময় আদালতে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী কুষ্টিয়া বারের সিনিয়র আইনজীবী প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম, বিএফইউজে মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অনেকে তার সাথে রয়েছেন।

পরে তিনি আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার ওপর ব্যাপকভাবে ইট-পাথর বর্ষণ করা হয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।