কিউবায় অনুমতি পেল মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার

কিউবায় অনুমতি পেল মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার

অবশেষে রক্ষণশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বের হতে সক্ষম হল সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবা। সে দেশের সরকার মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। গত বছর এপ্রিলে কিউবার শাসন ক্ষমতা কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে যাওয়ায় পরিবর্তনের আশা করেছিল আন্তর্জাতিক মহল। নতুন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ কানেল এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তিনি মনে করেন, বিস্তৃত ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দেশটির অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেবে এবং বিপ্লবকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, এই মুহূর্ত কিউবার সরকারি সংবাদ-সংস্থার কর্মীদের এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিউবার টেলিকম সংস্থা ‘ইটিইসিএস’ এই ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৫০ লক্ষ মোবাইল ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হবে। এবং ২০২০ সালের মধ্যে কিউবার অর্ধেক নাগরিক এই সেবার অন্তর্ভূক্ত হবে।

সংবাদকর্মী ছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা তাদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। প্রায় ৫০ বছর ধরে কিউবার কমিউনিস্ট সরকার তথ্য সংরক্ষণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করেছিলেন। কাস্ত্রো পরিবারের সরকার মনে করতেন, অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহার প্রশাসনিক কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই ধারণার বাইরে এসে কিউবার নতুন যাত্রা শুরু করলেন দিয়াজ কানেল।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি মানে তা সবার জন্য নয়। বর্তমানে ইন্টারনেটের চড়া মূল্য রয়েছে সেখানে। এক ঘন্টা ওয়াইফাই হটস্পটের জন্য খরচ করতে হবে ১ ডলার। এবং এটাও জানানো হয়নি, নতুন এই পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেটের দাম কত হবে? বর্তমানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দূতাবাসের জন্য ‘ইটিইসিএসএ’ প্রতিমাসে ৪ জিবির দাম ৪৫ ডলার নিয়ে থাকে। যা ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।