ভারতকে মোকাবেলায় পাকিস্তানকে সব ধরণের সহযোগিতা করছে চীন। তারই ধারাবাহিকতায়, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীকে ঠেকাতে পাকিস্তানকে দিতে যাচ্ছে ৮টি সাবমেরিন দেশটি। এর ফলে জলযুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের চেয়ে শক্তিতে এগিয়ে যাবে। কেননা ওই জলাঞ্চলে বর্তমানে ভারতের ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে আর পাকিস্তানের ১০টি। নতুন এই ৮টি সাবমেরিন যুক্ত হলে সাবমেরিনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, হ্যাঙর প্রকল্পের অধীনে চীনের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এই সাবমেরিনগুলো তৈরি করছে যা দ্রুতই পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়া হবে।
চীনা সৈন্যদের ভারতীয় সমুদ্রসীমায় প্রবেশ নতুন কিছু নয় এবং পাকিস্তানি শক্তির সাথে এই সাবমেরিন যোগ করাটা তাদের অনুপ্রবেশকে আরও সহজ করবে। এটিও ভারতীয় সেনাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপ এমন সময় নেয়া হয়েছে যখন চীন ‘জিকুয়ান স্যাটেলাইট সেন্টার’ থেকে পাকিস্তানের জন্য দু’টি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। যা দেশ দু’টি ভারতের ওপর নজরদারিতে ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে চীন পাকিস্তানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ‘সিপিইসি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। যার বিনিময়ে বেইজিংয়ের যুগান্তকারী ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্প চীনের জিনজিয়ান প্রদেশ ও পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশকে সংযুক্ত করবে। এতে করে চীন বিনাবাধায় আরব সাগরে প্রবেশের সুযোগ পাবে। ভারত এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলো। তারা যাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে না পারে তাই পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এই সহযোগিতা বলে মনে করছেন অনেকেই।
এতে করে পাকিস্তানকে আক্রমণ কিংবা তাদের উপর আধিপত্য বিস্তারে ভারতকে দু’বার ভাবতে হবে, করতে হবে নতুন ছক।