বিশ্বকাপ চলাকালে দল পাল্টালেন যারা

বিশ্বকাপ চলাকালে দল পাল্টালেন যারা

ফুটবল প্রেমীদের জন্য জুলাই এবং জানুয়ারি খুবই আকাঙ্ক্ষিত সময়। কারণ বছরে এই দুইবার ফুটবল ক্লাবগুলোর সুযোগ থাকে নিজ নিজ দলগুলো ঢেলে সাজানোর। তাইতো ভক্তকুলও অধীর আগ্রহে বসে থাকে দলের সংযোজন বিয়োজন দেখতে। কিন্ত এবার সামার ট্রান্সফারের সময়টাতে বিশ্বকাপ চলায় সবার নজর পড়েছিল ফুটবলের এই বড় আসরেই। তাই কে কোন দলে ভিড়ল, তা নিয়ে অনেক ফুটবল ভক্তরাই লাপাত্তা হয়ে আছেন। তাহলে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপের এই সময়ে কোন দল কাকে দলে ভিড়ালো।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে য়্যুভেন্তাস)

১১২ মিলিয়ন ইউরো

ইংল্যান্ড এবং স্পেনতো আগেই জয় করেছিলেন। এবার ইতালির পালা হাওয়া বদল করার। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রোনালদো এখন য়্যুভেন্তাসে। ৩৩ বছর বয়সেও ১১২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলবদল। হয়ত রোনালদো বলেই সম্ভব। এবার তাহলে তুরিনের পালা।

তাকাশি ইনুই (এইবার থেকে রিয়াল বেটিস)

ফ্রি ট্রান্সফার

নিঃসন্দেহে বেলজিয়ামের সাথে করা গোলটা অনেকদিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের। বিশ্বকাপে সবার নজর কাড়লেও রিয়াল বেটিসের নজর কেড়েছিল আরো আগেই। তাইতো ফ্রি ট্রান্সফারে দলে ভিড়িয়েছেন জাপানের এই মাঝমাঠের খেলোয়াড়কে।

থমাস ডিল্যানি (ভেরডার ব্রেমেন থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)

২০ মিলিয়ন ইউরো

বিশ্বকাপে ডেনমার্কের আরেক নজরকাড়া খেলোয়াড়। ভেরডার ব্রেমেন থেকে ২০ মিলিয়ন ইউরোতে ভিড়েছেন বরুসিয়ায়।

আবদু দিয়াললো (ম্যাইনজ থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)

২৮ মিলিয়ন ইউরো

আর্সেনালে যাওয়ার গুজব শুনা গেলেও দক্ষ এই সেন্টারব্যাক যোগ দিয়েছে বরুসিয়ায়। বরুসিয়া সব সময়ই খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সর্বোচ্চ বের করে আনতে সক্ষম। দেখা যাক, ২৮ মিলিয়ন ইউরো কি দিতে পারে জার্মান  এই ক্লাবকে।

লুকাস টরেইরা ( নিস থেকে আর্সেনাল)

২৭ মিলিয়ন পাউন্ড

অনেকদিন হল আর্সেনালে কোন ওয়ার্ল্ডক্লাস ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দেখা যায়না। ওয়ার্ল্ডক্লাস না হলেও একইসাথে রক্ষণ এবং আক্রমণে পারদর্শী ২২ বছর বয়সী এই উরুগুইয়ান নিশ্চয়ই আর্সেনালের মাঝ মাঠে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আলভারো অদ্রিওজোলা (এথলেটিক বিলবাও থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)

৩০ মিলিয়ন ইউরো

রিয়াল মাদ্রিদের রাইট ব্যাকের ক্ষরা যেন কমছিলই না। বিশ্বকাপের মরোক্কোর আকরাফ হাকিমির নজরকাড়া ফুটবল প্রদর্শনীর পরও তাকে লোনে পাঠানো হয় ডর্টমুন্ডে। কিন্ত লোপেতেগুই কার্ভাহালের রিপ্লেসমেন্ট যেন খুজলেন জাতীয় দলের অতিরিক্ত রাইট ব্যাকের মধ্যেই। তাইতো ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে সোসিয়াদাদ থেকে মাদ্রিদে ভিড়লেন আলভারো আদ্রিওজোলা।

রিয়াদ মাহরেজ (লিস্টার সিটি থেকে ম্যানচেস্টার সিটি)

৬১ মিলিয়ন পাউন্ড

লিস্টার সিটির সেই স্বপ্নের মৌসুমটার কথা মনে আছে? এইতো মাত্র দুই সিজন আগের কথা। সবাইকে তাক করে দিয়ে প্রিমিয়ার লীগ নিজেদের করে নিল তারা। এবং এই অর্জনের অন্যতম কারিগর ছিলেন আলজেরিয়ান উইংগার রিয়াদ মাহরেজ। অনেকগুলো দল তাকে পাওয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠলেও আরো দুই বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টারেই। কিন্ত এবার ম্যানচেস্টারের অফার ফেরাতে পারলনা লিস্টার সিটি। ৬১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে উইংগার যোগ দিয়েছে সিটিজেনদের দলে।

জরজিনহো (নাপোলি থেকে চেলসি)

৫০ মিলিয়ন পাউন্ড

মরিজিও সারি নাপোলি থেকে একা আসেননি লন্ডনের ক্লাবে। সাথে নিয়ে এসেছেন নাপোলির পাসিং মাস্টার জরজিনহো-কেও। দেখার পালা কানতের সাথে মিলে মাঝমাঠ সাজাতে পারেন কিনা ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।

ফ্যাবিনহো (মোনাকো থেকে লিভারপুল)

৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড

মাঝমাঠের আরেক কান্ডারি, আরেক ব্রাজিলিয়ান। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে নাম করেছেন আগেই। এবার ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনময়ে যোগ দিলেন লিভারপুলে। মার্সিসাইডের এই ক্লাবের মাঝমাঠের শূন্যতা কতটুক পূরণ হয় তাই দেখার পালা।

জেরদান শাকিরি (স্টোক সিটি থেকে লিভারপুল)

১৩ মিলিয়ন পাউন্ড

বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্সের মাধ্যমেই নজর কেড়েছিলেন সেবার। ২০১২ থেকেই বায়ার্ন মিউনিখে ছিলেন। কিন্তু ক্লাবের জার্সিতে এ যেন অন্য শাকিরি। ৩ মৌসুম কাটিয়ে দিলেও নিজেকে ধাতস্থ করতে পারলেন না। ইন্টারে এক মৌসুম খেলে ভিড়লেন স্টোক সিটিতে। রাশিয়া বিশ্বকাপে আবারো সেই শাকিরি। এবার লিভারপুল ১৮ মিলিয়নে কিনে নিল শাকিরিকে। দেখা যাক নিজের জাত চেনাতে পারেন কিনা সুইজারল্যান্ডের এই উইংগার।

ফ্রেড (শাখতার দানেস্ক থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)

৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে মাইকেল ক্যারিক বিদায় নিল এই বছর। রেড ডেভিলদের জার্সিতে খেলেছিলেন ৩১৬ ম্যাচ। বলাই বাহুল্য এমন অভিজ্ঞ খেলোয়ড়ের জায়গা নেয়া খুব সহজ হবেনা। কিন্ত মৌরিনিহো ব্রাজিলিয়ান ফ্রেডের মধ্যেই হয়ত ক্যারিকের রিপ্লেসমেন্ট পেয়েছেন। তাইতো ৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে ইউক্রেন থেকে উড়িয়ে আনলেন তাকে।

থমাস লেমার (মোনাকো থেকে এতলেটিকো মাদ্রিদ)

৭০ মিলিয়ন ইউরো

অনেক নাটকীয়তার পরও আতোয়ান গ্রিজম্যান থেকে গেলেন এতলেটিকো মাদ্রিদেই। হয়ত আতোয়ান গ্রিজমানের উপস্থিতিই বাধ্য করেছে এই ফরাসি মিডফিল্ডারকে স্পেনে আসতে।

রাদজা নাইনগোলান (রোমা থেকে ইন্টার মিলান)

৩৮ মিলিয়ন ইউরো

বেলোজিয়াম ভক্তরা ভাবতেই পারে তিনি থাকলে হয়ত অন্যরকম হতে পারত এবারে বিশ্বকাপ অভিযান। এমনি এমনিতো ইউরোপের কমপ্লিট মিডফিল্ডার বলা হয়না তাকে। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না হলেও মিলানে খেলছেন নাইনগোলান। ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েছেন বেলিজিয়ান মিডফিল্ডার।