সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত পুলিশ প্রসাশনের গ্রেফতার এবং সরকার দলীয় ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সাথে সহমত পোষণ করে পাশে রয়েছেন কতিপয় বিবেকবান শিক্ষক। আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ছাত্রদেরকে জেলবন্দি ও রিমান্ডে নিয়ে রাখার ফলে নেতৃত্বশূন্যতাও দেখা দিয়েছে সময়ে সময়ে।
শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন সেগুলো হল-
১. কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা।
২. কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া।
৩. নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
৪. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া।
৫. চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
সর্বশেষ কোটা আন্দোলনের নেতা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ন-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ফেসবুকে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফার সাথে সাথে গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিও তুলতে হবে। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের সাহসের সাথে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।