নিশ্চিন্তে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখা নিশ্চিত করল টাইগাররা!

নিশ্চিন্তে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখা নিশ্চিত করল টাইগাররা!

সকালের আলোতে ঝলমল করা বাংলাদেশ দল দিন শেষেই আরো একটি লজ্জাজনক পরাজয় দিয়ে শেষ করল। মাত্র তিন দিনেই জামাইকা টেস্ট ১৬৬ রানে জিতে ২-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হোয়াই ওয়াশ করল হোল্ডারের উইন্ডিজ।

ম্যাচের শুরুতেই আলোচনায় আসা পিচকে পার্শ্বচরিত্র বানিয়ে দিয়েছেন দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। ক্যারাবিয়ানরা যেখানে জওয়াব খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের স্পিন বিষের তারচেয়েও এক কাঠি এগিয়ে আরো অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন সাকিব-তামিমরা। ম্যাচ শেষে বিষয়টি ধাধার মতই ঠেকছে। দু দলের বোলাররা কল্পনার চেয়েও ভালো করেছেন নাকি দু দলের ব্যটসম্যানরা নিজেদের দুর্বলতার নগ্ন রুপ প্রদর্শন করেছেন সেটিই এখন প্রশ্ন।

প্রথম ইনিংসের মতই দ্বিতীয় ইনিংসেও উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে। বিশেষ করে সাকিবের সামনে। তার বাহাতি স্পিনের মায়ায় মুগ্ধ হয়ে একে একে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় ব্যাটসম্যান। দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় তখনই বোঝা গিয়েছিল এ টেস্টে ফল নিশ্চিত। টার্গেটটা ৩৩৫ রানের হওয়ায় কী ক্ষীণ একটি আশার আলো দেখেছিল বাংলাদেশের ব্যটসম্যানরা? হবে হয়ত। যেভাবে চালিয়ে খেলেছেন ব্যাটসম্যানরা তাতে এটিই মনে হওয়া স্বাভাবিক।

বাস্তবতা বিবেচনায় ৩৩৫ই বাংলাদেশের জন্য বিশাল বড় টার্গেট। বিশেষ করে যখন চলতি সফরের তিন ইনিংসের একটিতেও ২০০ই করতে পারেনি গোটা দল। তাই বাংলাদেশ জিতবে, এমন কল্পনা কখনোই মনে আসে নি। যেটা চাওয়ার ছিল সেটি হচ্ছে লড়াই করার। সেটি অবশ্য ব্যাটসম্যানরা করেছেনও বটে, তবে সেটি ড্রেসিংরুমেকে কত দ্রুত ফিরতে পারে সে জন্য!

দু ইনিংসের একটিতেও একটি পুরো দিন ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ! এমন হতশ্রী হালতের কি বয়ান বাংলাদেশ দলের তরফ থেকে আসে সেটি দেখার বিষয়। মজার হচ্ছে, উইন্ডিজ যেমন বাংলাদেশ অধিনায়কের স্পিনে বিষম খেয়েছে তাতে বোধয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও কিছু একটা করণীয় বলে ভেবেছিলেন। তাই তারাও উইন্ডিজ অধিনায়ককে গুণে গুণে ঠিক ছয়টি উইকেটই উপহার দিয়েছেন! ব্যাট হাতে সাকিব অর্ধশতক তুলে নিলেও সেটি উইন্ডিজের জয় টুকুকেই শুধু বিলম্বিত করেছে।

কাকতাল বটে, বাংলাদেশ দল ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার তাড়নায় দ্রুতই মাঠ ত্যাগ করতে পারে বলে অনেকেই মজা করছিলেন। তাদের সে ঠাট্টাকেই বাস্তব প্রমাণ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ম্যাচটি শেষ করেছে বাংলাদেশ! ইজ্জত যায় যাক, নিশ্চিন্ত মনে বিশ্বকাপের ফাইনাল তো দেখতে পারবেন সাকিব-তামিমরা।