আজকের মহারণে যাদের ওপর চোখ থাকবে সবার

আজকের মহারণে যাদের ওপর চোখ থাকবে সবার

আজ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে স্বপ্নের ফাইনাল। তারুণ্যের জয়গান গেয়ে ফ্রান্স, অভিজ্ঞতায় ভর দিয়ে রূপকথার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের ইচ্ছেপূরণের মাঝে রয়েছে একটি মাত্র ম্যাচ। কে জিতবে এই লড়াইয়ে? সেটা জানা যাবে রাতেই। তার আগে দেখে নেয়া যাক মাঠের লড়াইটা হবে কাদের মধ্যে হবে যারা মূহুর্তেই বদলে দিতে পারেন খেলার গতিপথ।

সুবাসিচ-লরিস

দুই দলের শেষ আশ্রয়স্থল গোলরক্ষক। শক্তিও বলা যায়। গোল্ডেন গ্লোভের লড়াইটাও হচ্ছে এদের দুজনের মাঝে! ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠার পেছনে সুবাসিচের অবদান অনস্বীকার্য। ডেনমার্ক, রাশিয়াকে ট্রাইব্রেকারে রুখে দলকে তুলেছেন স্বপ্নের ফাইনালে। দলপতির বাহুবন্ধনীর ভার বেশ ভালমতোই সামলেছেন ফরাসি হুগো লরিস। তাকে লক্ষ্য করে বিপক্ষের নেওয়া শেষ সাত শটের প্রত্যেকটি ঠেকিয়েছেন তিনি। আজ তাই চোখ থাকবে দুই গোলরক্ষকের ওপর, দ্য আল্টিমেট ওয়াল যে তারা।

উমতিতি-ভ্রাসালকো

দুই পাওয়ার স্টার। ডিফেন্সের দুই প্রহরী। বার্সার সেন্ট্রাল ব্যাক উমতিতি রক্ষণের সঙ্গে সেটপিসেও কতটা কার্যকরী তা সেমিতে দেখা গেছে। ক্রোয়াট লেফটব্যাক ভ্রাসালকো বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে খেলার গতি বাড়াতে পারঙ্গম। আাল জায়গা ডিফেন্স সামলান সমান দক্ষতায়।

পগবা-মদ্রিচ

মধ্যমাঠের লড়াই। সম্ভবত ম্যাচের সবচাইতে বড় লড়াই। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এ দুজন। তারুণ্যের ডানায় ভর দিয়ে পুরো দলকে একসুঁতোয় গাঁথতে সিদ্ধহস্ত পগবা, আর মদ্রিচ যেন মধ্যমাঠের পিকাসো। অঘটন না ঘটলে এবারের আসরের গোল্ডেন বল উঠতে যাচ্ছে ক্রোয়াট দলপতির হাতেই।

রাকিতিচ- গ্রিজম্যান

নিজ কোচের ভরসা, বিপক্ষ কোচের মাথাব্যথা। এদের আটকাতে পারলে গোলমুখে বল যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে অনেকটা। মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণভাগে যাওয়া বলের অন্যতম সমন্বয়কারী তারা। শুরুর দিকে তেমন ছন্দে না থাকলেও নকআউটে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। বেলজিয়ামের সাথে জ্বর নিয়ে খেলতে নামা রাকিতিচ ক্রোয়াটদের অন্যতম সেরা অস্ত্র।

মানজুকিচ-এমবাপ্পে

মারিও মানজুকিচ কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পে, কেউ কারো চাইতে কম নয়। মমানজুকিচের যেমন গতি আছে, এমবাপ্পেরও আছে। আসরজুড়েই বিপক্ষ রক্ষণের পরীক্ষা নিচ্ছেন দুজন। সেমি ফাইনালে দলের জয়সূচক গোল করা মারিও গোটা ম্যাচেই বেশ শক্ত পরীক্ষা নিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষকের। রাউন্ড অব সিক্সটিনে এমবাপ্পের গতির কাছেই হেরেছে আর্জেন্টিনা। তার ফর্ম, আগ্রাসন দেখে কে বলবে, মাত্র প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে সে। বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ তারকা হিসেবে পেলের পর এক ম্যাচে জোড়া গোল দেওয়ার রেকর্ড এমবাপ্পের দখলে। এবারের বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকার তকমা তার গায়ে লাগতে চলেছে।