নিজেদের সেরা সাফল্য দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করল বেলজিয়াম

নিজেদের সেরা সাফল্য দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করল বেলজিয়াম

ইংল্যান্ড ০-২ বেলজিয়াম
মুনিয়ের ‘৪
হ্যাজার্ড ৮২’

• বিশ্বকাপে এটাই বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য। এর আগে ‘৮৬র বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়েছিল তারা।
• ‘৯০ এর পর এবারো ৪র্থ হয়েই সন্তষ্ট থাকতে হল ইংল্যান্ডকে।

তৃতীয় হবার সান্ত্বনাটুকুও জুটল না থ্রি লায়ন্সদের। তৃতীয়স্থান নির্ধারনী ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-২ গোলে হেরেছে সাউথগেট শিষ্যরা। বিশ্বকাপে এটিই বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য।

নেহায়েত নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও দল দুটির নাম দেখে বেশ জমজমাট একটি লড়াই আশা ছিল সবার। সেটিকে ভুল প্রমাণ করা ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইনিরা।

ফ্রান্সের বিপক্ষে পরাজয়ের পর ৩-৫-২ ছক বদলে আবারো ৩-৪-৩ এ ফিরে যান রবার্তো মার্টিনেজ। সাফল্য আসতেও খুব একটা সময় লাগেনি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটের মাথায়ই চমৎকার একটি আক্রমণ থেকে গোলের খাতা খোলেন মুনিয়ের। এরপর দু’ দলই আক্রমণ চালালেও ৮২ মিনিট পর্যন্ত গোল পায়নি কেউই। পুরো বিশ্বকাপেই দারুণ খেলা হ্যাজার্ড বিশ্বকাপটি শেষ করেছেন গোল করেই।

তবে এদিনও দর্শকদের হতাশ করেছেন হ্যারি কেইন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টিতে দেয়া গোলটির পর পোষ্টে শ্যুট রাখাই যেন ভুলে গিয়েছেন তিনি। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দী লুকাকুও তার পথ অনুসরণ করায় অবশ্য একটা স্বস্তি নিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করেছেন তিনি।

এ ম্যাচ শেষে একটা কথা জোর দিয়েই বলা যায়। ইংল্যান্ডের সেমি খেলাকে ইংলিশ মিডিয়া বেশ ফুলিয়ে ফাপিয়ে দেখালেও সার্বিক দিক দিয়ে দলটি ফাইনাল খেলার মত না। কাছাকাছি মানের প্রতিপক্ষগুলোর বিপক্ষে বা তাদের চেয়ে শক্তিশালী কোনো দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ফলাফলই বলে দেবে সেটি। সাথে খেলাও খুব একটা মনকাড়া ছিল না। বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের স্বপ্নটা হয়ত আরো বড় ছিল। কিন্তু যতটুকুই তারা করেছেন সেটিই যথেষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিহাস গড়ার জন্য।

ম্যাচসেরা : ইডেন হ্যাজার্ড (বেলজিয়াম)