বাংলাদেশ যেহেতু কিছুতেই পারছে না তাই বাংলাদেশের মান বাঁচানোর দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন জেসন হোল্ডার। ইনিংস পরজায়ের ঠিক পরের ম্যাচেই ফলো-অনের লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে নিজেরাই আরো একবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা স্বপ্নের মতই করেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম সেশনেই ছয় উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজকে ৩৩৪ রানেই বেধে ফেলেন মিরাজ-রাহীরা। বোলাররা আশার আলো দেখালেও আঁধারের রাজ্যেই ঘুরে ফিরছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পুরো দিনও ব্যাটিং করা এখন স্বপ্নের মত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ১৪৯ রানেই তল্পি তল্পা গুছিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
রসিক যে কেউ চাইলে এ ইনিংস থেকেও বিনোদন খুঁজে নিতে পারেন। তিন তিনবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফিরেছেন জোড়ায় জোড়ায়। তিনের বদলে যে সংখ্যাটি চার হয়নি সেটিও হোল্ডারের কারণেই। তাইজুলকে করা প্রথম বলটি নো না হলে চার জোড়াই হত। হোল্ডার এতটা উদারতা দেখিয়েও দিনশেষে ভিলেনই থাকছেন। নিরীহ দর্শন পেস বোলিং দিয়েই যে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের পাঁচটি উইকেট।
তবে খেলাটি দেখে থাকলে আসলে যে কে ভিলেন ঠাহর করা মুশকিল হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যে তাড়াটি দেখালেন ব্যাটিংয়ের সময় তাতে এটি টেস্টের বদলে টি টোয়েন্টি বলে বিভ্রান্ত হতে পারেন যে কেউই। এক তামিম যা কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। সেটিও ভাগ্যের উদার সহায়তায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাস্তব চিত্রটিই যেন উদোমভাবে প্রকাশিত হচ্ছে উইন্ডিজ সফরে। মাঝে নিজেদের মাঠে ভাঙ্গা পিচ বানিয়ে যে ভেল্কিটি বাংলাদেশ দেখিয়েছিল সেটি যে শাক দিয়ে কৈ মাছ ঢাকার মতই এখন সেটি বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে।