জ্যামাইকা টেস্টেও চালকের আসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জ্যামাইকা টেস্টেও চালকের আসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সাবিনা পার্কেও হাসতে পারল না বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘাসে ঢাকা পিচে টসে জিতে বোলিং নিতে দুবার ভাবেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি না ভাবলেও পুরো দিনের বাংলাদেশ দল ভাবনায় ফেলে দিয়েছে বিশ্লেষকদের।

সাবিনা পার্কের ঘাসে ঢাকা পিচে একজন পেসার কমিয়ে স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্তটা ছিল বিস্ময়কর। সেটি চূড়ান্তরুপ ধারণ করে যখন আবু জায়েদ রাহীর সাথে অপর প্রান্তে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান নিজেই। ঠিক তারপরের ওভারেই আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে বল হাতে তুলে নিতে দেখাটাও ছিল বিস্ময়কর। তবে সাকিবের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণের দায়টা স্মিথ নিজের কাধে তুলে নিলে হাসি ফোটে বাংলাদেশ অধিনায়কের ঠোটে। মিরাজের নিরীহ একটি বল অহেতুক খেলতে গিয়ে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। প্রথম সেশনে আরো একবার উল্লাস করেছে বাংলাদেশ। সেটিও মিরাজের সৌজন্যেই।

আরো দুটি উইকেট পড়লেও খেলার লাগাম পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতেই। ব্রেথওয়েট টেস্ট ব্যাটিং শিখিয়ে ফিরে গিয়েছেন সিরিজে নিজের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে। ৮৪ করে অপরাজিত রয়েছেন হেটমেয়ার। অপর প্রান্তে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন চেজ।

সাবিনা পার্কে চারটি উইকেট তুলে নিতে পারলেও এ মাঠের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ড এবং পিচের কন্ডিশন বলে দিচ্ছে লাগামটা এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতেই। সাবিনা পার্কে সর্বশেষ পাঁচ টেস্টের প্রথম ইনিংসের গড় সংগ্রহ ৩৩০। বোঝাই যাচ্ছে এটি রান প্রসবা কোনো মাঠ না। অপর দিকে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের পেস দুর্বলতা দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেমেছে চারজন পেসার নিয়ে। এখনো যে পরিমাণ উইকেট হাতে রয়েছে এবং হেটমেয়ার যেভাবে ব্যাট করছেন তাতে বেশ বড় সংগ্রহই আশা করছে উইন্ডিজ। দেখার বিষয় যে সাকিবের তিন স্পিনার নাকি হোল্ডারের চার পেসার নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত ফল দেয়।

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯৫/৪ ( ব্রেথওয়েট ১১০, হেটমেয়ার ৮৪*, মিরাজ ৯০/৩)