গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে এগিয়ে ক্রোয়াট রক্ষক

গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে এগিয়ে ক্রোয়াট রক্ষক

এ এক নতুন স্বপ্নের মধুর উপসংহারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ক্রোয়েশিয়া। আর একটু এগিয়ে যেতে পারলেই চুমু আঁকতে পারবে আরাধ্য বিশ্বকাপে।

অভিজ্ঞতা, তারুণ্য, দূরদর্শিতার অনন্য মেলবন্ধনে ইচ্ছেপূরণের খুব কাছে তারা। ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে উঠার পেছনের রূপকথার গল্পের কারিগর কে? মদ্রিচ, পেরিসিচ, মানজুকিচরা? কিংবা ডিফেন্সের ভ্রাসালকো, ভিদা? ওরা সকলেই। সত্যিকারের গল্প বোনা রূপকথার বালকদের  প্রশংসায় ভাসাচ্ছে সবাই। এদের সঙ্গে আরও একজন আছেন গল্পের পার্শ্বচরিত্র রূপে। ক্রোয়াট গোলকিপার দানিয়েল সুবাসিচ।

আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই সুবাসিচের পারফর্মেন্স ছিল চোখে পর মত। গ্রপ পর্বে খেলেছেন প্রথম দুই ম্যাচে। নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনার সাথে ক্লিনশীট রেখেছেন দুইদিনই। রাউন্ড অব সিক্সটিনে ডেনমার্কের সঙ্গে ১২০ মিনিটেও যখন জিততে পারেনি ‘ভাত্রেনিরা’, ট্রাইব্রেকে স্বপ্ন জিইয়ে রাখেন গ্লাভসজোড়ায়, সুবাসিচের অসাধারন সেভে ভর করে জয় পায় ক্রোয়েশিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালের গল্পটা ছিল অন্যরকম। ম্যাচ শুরুর আগে পায়ের মাসলে ব্যথা অনুভব করছিলেন ৩৩ বছর বয়সী সুবাসিচ। কিন্তু স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টারের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঠিকই মাঠে নামেন  তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে যখন ব্যথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন, ক্রোয়াটদের বুকে ভয় চেপে বসে। দলের প্রয়োজনের সময় মাঠ ছাড়েননি সুবাসিচ। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের বাকি সময়টুকু খেলে যান।

সেদিনও ট্রাইবেকারে অসাধারন সেভ করে স্বাগতিকদের কান্নায় ভাসিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে তোলেন সেমিফাইনালে। সেমি ফাইনালে যখন প্রতিপক্ষ আক্রমণাত্মক মানসিকতার ইংল্যান্ড, ভড়কে যাননি। পাঁচমিনিটেই আকস্মিক গোল হজম করলেও এরপর ধূলিসাৎ করেছেন কেইন, স্টার্লিংদের ভালো কিছু আক্রমণ। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সুবাসিচদের অসাধারণ কিপিং ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে উঠার পেছনে অন্যতম সহায়ক।

আর মাত্র একটি ম্যাচ! এমবাপ্পে, গ্রিজম্যানদের রুখতে পারলেই কেল্লাফতে। সহজ হবে না যদিও। তা, বিশ্বকাপের ফাইনালে সহজেই উতরে যাবার উচ্চাশা কেই বা কবে করেছে? এবার গোল্ডেন গ্লোভের অন্যতম দাবিদার সুবাসিচও নিশ্চয় এমন কিছু ভাবছেন না! তবে ৫ ম্যাচ খেলে ১২টি সেইভ করা সুবাসিচ ফাইনালেও অবতীর্ণ হবেন সুপার সেভারের ভূমিকায়, এমন আশা ভক্তরা করছেই!