বিশ্বকাপ এখন বিদায় লগ্নে। সেমিফাইনাল শেষে আমরা পেয়ে গেছি আমাদের দুই ফাইনালিস্ট দলকে। আগামী ১৫ তারিখ রাত ৯টায় ফ্রান্স যুদ্ধে নামবে ক্রোয়েশিয়ার সাথে। মস্কোতে যুদ্ধক্ষেত্রও প্রস্তত। এখন অপেক্ষার পালা। আসুন যুদ্ধ শুরুর আগে এক নজরে যুদ্ধক্ষেত্রের সাথে পরিচিত হয়ে নেয়া যাক।
লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কো
• স্থাপনকাল : ১৯৫৫-৫৬ সাল।
• ধারণক্ষমতা : ৮১ হাজার (প্রায়) বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনের কারণে আসনসংখ্যা ৭৮ হাজার করা হয়েছে।
মস্কো সেন্ট্রালে মস্কো নদীর পাড় ঘেঁষে ১৯৫৫-৫৬ সালে ‘লেনিন সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম’ নামে যাত্রা শুরু হয় এই স্টেডিয়ামের। মূলত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্মিত হয় এটি। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভক্তের পর এর নাম পরিবর্তন করে ‘লুঝনিকি স্টেডিয়াম’ রাখা হয় এবং বর্তমানে এটি রাশিয়ার জাতীয় স্টেডিয়াম। ১৯৮০ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হয় এখানেই। রাশিয়া ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর বিশ্বকাপের প্রস্তুতিস্বরূপ লুঝনিকিকে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে সংস্কার করা হয়।
এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ফাইনাল ম্যাচ, গ্রপপর্বের চারটিসহ মোট ৭টি ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্বাগতিক রাশিয়া বনাম স্পেন ম্যাচ এবং সর্বশেষ সেমি ফাইনাল। ১৫ জুলাই ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে লুঝনিকির বিশ্বকাপ পরিসেবা, একই সাথে পর্দা নামবে একবিংশতম আসরেরও।
উল্লেখ্য, স্টেডিয়াম নির্মাণের কিছু নিজস্ব নিয়মনীতি অনুসারে ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফা এক, দুই, তিন ও চার লেভেলে রেটিং দিয়ে থাকে। বলা বাহুল্য সেই রেটিংয়ে সর্বোচ্চ চারই পেয়েছে ফুটবল মহারণের এই ময়দানটি।