আজকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল। তারুণ্যের জয়গান গেয়ে দুই দল উঠে এসেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের মাঝে ফাইনালের পথে রয়েছে আর একটি মাত্র ধাপ। কে জিতবে এই লড়াইয়ে? সেটা জানা যাবে আজ রাতেই। তার আগে দেখে নেয়া যাক মাঠের লড়াইটা আজ কাদের মধ্যে হবে।
কর্তোয়া-লরিস
দুই দলের শেষ আশ্রয়স্থল গোলরক্ষক। অন্যভাবে সবচেয়ে বড় শক্তিও বলা যায়। থিবো কর্তোয়া কোয়ার্টারে ব্রাজিলকে একাই রুখে দিয়েছেন, অন্যদিকে দলপতির বাহুবন্ধনীর ভার বেশ ভালমতোই সামলে এসেছেন হুগো লরিস। আজ তাই চোখ থাকবে দুই গোলরক্ষকের ওপর, দ্য আল্টিমেট ওয়াল যে তারা!
ভারান-কম্পানি
দুই পাওয়ারহাউজ, ডিফেন্সের দুই প্রহরী। রিয়ালের সেন্ট্রাল ব্যাক রাফায়েল ভারানে রক্ষণের সঙ্গে সেটপিসেও যেমন কার্যকরী, সিটি অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানিও কোন অংশে কম নয়। ভারানের চেয়ে অভিজ্ঞতায় বরং এগিয়ে কম্পানি।
পগবা-ডি ব্রুইনি
মধ্যমাঠের লড়াই সম্ভবত আজকের ম্যাচের সবচাইতে বড় লড়াই। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এ দুজনই। তারুণ্যের ডানায় ভর দিয়ে পুরো দলকে একসুঁতোয় গাঁথতে সিদ্ধহস্ত দুজন, যেন মাঝমাঠের পিকাসো। গোল করায়, করানোয় দুজনই সিদ্ধহস্ত। তাই বলা যায় থাকবেন মধ্যমণি হয়েই।
হ্যাজার্ড-গ্রিজম্যান
নিজ কোচেদের প্রাণভোমরা, বিপক্ষ কোচের মাথাব্যথা। এদের আটকাতে পারলে গোলমুখে বল যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে অনেকটা। মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণভাগে যাওয়া বলের সমন্বয়কারী তারা। শুরুর দিকে তেমন ছন্দে না থাকলেও নকআউটে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। বিশ্বকাপে দলের অধিনায়ত্বের চাপে ন্যুব্জ না হয়ে বরং সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিছেন ইডেন হ্যাজার্ড।
লুকাকু-এমবাপ্পে
রোমেলা লুকাকু কিংবা কিলিয়ান এমবাপ্পে, কেউ কারো চাইতে কম নয়। লুকাকুর যেমন গতি আছে, এমবাপ্পেরও আছে। আসরজুড়েই বিপক্ষ রক্ষণের পরীক্ষা নিচ্ছেন দুজন। চার গোল করা লুকাকু গোল্ডেন বুটের রেসে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে এমবাপ্পের গতির কাছেই হেরেছে আর্জেন্টিনা। তার ফর্ম, আগ্রাসন দেখে কে বলবে, মাত্র প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে সে! বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ তারকা হিসেবে পেলের পর এক ম্যাচে জোড়া গোল দেওয়ার রেকর্ড এমবাপ্পের দখলে। বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের অন্যতম স্বপ্নসারথী লুকাকু আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। দুই নাম্বার নাইনের যুদ্ধটা আজ চোখের শান্তি দিবে কারো, কারো বা কেড়ে নেবে রাতের ঘুম, পরিণত করবে দুঃস্বপ্নে।