১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া সাহিত্যের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার হচ্ছে ম্যান বুকার প্রাইজ। আর এই পুরস্কারের ৫০তম বছর উদযাপনের লক্ষ্যে দ্য বুকার ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছিল গোল্ডেন ম্যান বুকার পুরষ্কারের। বিচারকদের বাছাইকৃত শর্টলিস্টের পরে চূড়ান্ত পর্যায়ে গোল্ডেন ম্যান বুকার জিতে নেন মাইকেল অন্দাতজে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত প্রেমের উপন্যাসটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রতি বছর ইংরেজি ভাষায় লেখা এবং ব্রিটেন অথবা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়া উপন্যাসগুলোর মধ্যে সেরা উপন্যাসটি বাছাই করে নেয়া হয় ম্যান বুকারের জন্য। ম্যান বুকার জয়ী পূর্ববর্তী ৫১ জন বুকার জয়ী উপন্যাসের থেকে ৫ জন বিচারক ৫টি উপন্যাস বেছে নেন গোল্ডেন ম্যান বুকারের শর্টলিস্ট হিসেবে। তারপর ম্যান বুকারের ওয়েবসাইটে গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ৫টি উপন্যাস থেকে ১টি উপন্যাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
কানাডা প্রবাসী শ্রীলঙ্কান সাহিত্যিক অন্দাতজে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন সিলনে জন্মগ্রহণ করেন। ‘দ্য ইংলিশ পেশেন্ট’ উপন্যাসটিতে চারটি ভিন্ন চরিত্রের গল্প বলা হয়; যার মধ্যে একজন অগ্নিদগ্ধ ইংরেজ রোগীর যুদ্ধের স্মৃতির মধ্য দিয়ে গল্পটি মূলত আগায়। ১৯৯২ সালে উপন্যাসটি বুকার পুরষ্কার লাভ করে।
বিখ্যাত এই উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে একই নামে নির্মিত চলচিত্রটি ৯টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরষ্কার লাভ করে। যার মধ্যে রয়েছে বেস্ট পিকচার এবং বেস্ট ডাইরেক্টরের পুরষ্কার। চলচিত্রটির প্রধান দুই চরিত্রে ছিলেন ক্রিস্টিন স্কট থমাস এবং রালফ ফিনেস।

উল্লেখ্য, ৫ জন বিচারক ৫টি বই নির্বাচন করেন শর্টলিস্টের জন্য। এর মধ্যে হলি ম্যাকনিশ নির্বাচিত করেন জর্জ সানডার্সের ‘লিংকন ইন দ্য বার্ডো’, ঔপন্যাসিক সাইমন ম্যায়ো নির্বাচন করেন হিলারি ম্যানটেল এর ২০০৯ সালে বুকার জয়ী ‘ওলফ হল’, লেমন সিস্যা বাছাই করেন ৮৭ বুকার জয়ী পেনেলোপ লিভলির ‘মুন টাইগার’ এবং রবার্ট ম্যাক্রাম ১৯৭১ বুকার জয়ী ন্যায়পলের ‘ইন আ ফ্রি স্টেট’ উপন্যাসটি বেছে নিয়েছিলেন। গোল্ডেন বুকার জয়ী অন্দাতজে রচিত ‘ইংলিশ পেশেন্ট’ উপন্যাসটি নির্বাচন করেছিলেন কামিলা শামসি।