ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুমতি ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাবি প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে প্রভোস্ট কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল- যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা হলে অবস্থান করতে পারবে না। এমনকি হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্রের অভিভাবক কিংবা অতিথি হলে অবস্থান করতে পারবে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থীরা হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে না পারে, সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর থাকতে হবে।
এদিকে ছাত্রী আন্দোলনকারীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকান্ড ব্যতীত আবাসিক হল/হোস্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটায় এমন কর্মসূচি (উস্কানিমূলক বক্তব্য, গুজব ছড়ানো প্রভৃতি) গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া হবে।
এছাড়া সম্প্রতি ছাত্রী হলে যারা গভীর রাতে শ্লোগান দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে তাদের আবাসিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যত্নশীল থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষগণ চিঠি দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সব মহলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ধারা ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করে এ ধরনের কাজ যেন কেউ না করতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেকোনো সাংস্কৃতিক বা ইতিবাচক কোনো অনুষ্ঠানকে বাধা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়নি।