প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জাপান। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ জন এবং নিখোঁজ রয়েছে অর্ধ শতাধিক । মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এছাড়াও কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ২৬.৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত।
দেশটির পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে টানা বর্ষণ চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পশ্চিম জাপানের হনশুর দ্বীপের চারটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে হিরোশিমায় ৩৭ জন, এহিমে ২০ জন, ওকায়ামায় ১০ জন এবং অন্যান্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে ১৪ জন মৃত্যুবরণ করে।
ওকায়ামা প্রদেশে এক হাজারেরও বেশি মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এখন তারা বাড়ির ছাদে অবস্থান করছে। প্রদেশটির পার্শ্ববর্তী নদী প্লাবিত হয়ে গেছে। সেখানে বর্তমানে নৌকা ও হেলিকাপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে।

বন্যা কবলিত মাবিচো জেলার ১২০০ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়ে গেছে, যেখানে প্রায় ৪ হাজার বাড়িঘর পানির নিচে ডুবে রয়েছে। একই সাথে রাজধানী টোকিও থেকে মাত্র ৬০০ কিলোমিটার দূরের এলাকা শিকোকু দ্বীপের মতোইমা শহরে ৫৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে বলেছেন, উদ্ধারকারীরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখছে।
জাপান পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও কোস্টাগার্ড’র ৫৪ হাজার কর্মী উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সাহায্য চাওয়া হচ্ছে।
বন্যা ও আরও ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় গতকাল শনিবার ১৬ লাখেরও বেশি মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। আর আজ আরও ৩১ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এরকম বর্ষণজনিত বন্যায় ও ভূমিধ্বসে ৭৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিলো হিরোশিমা অঞ্চলে। এবারও এই অঞ্চলটি অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।