প্রথম সেমিফাইনালিস্টকে পেয়ে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপ

প্রথম সেমিফাইনালিস্টকে পেয়ে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপ

ফ্রান্স ২-০ উরুগুয়ে
ভারান ৪০
গ্রিজম্যান ৬১

• বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালির পর যা চতুর্থ সর্বোচ্চ।
• ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেও বাদ পড়ল উরুগুয়ে।
• বিশ্বকাপে কখনোই টানা পাঁচ ম্যাচ জেতা হল না উরুগুয়ের। ১৯৩০ সালের পর এবারও চার ম্যাচ জিতেছে ‘লা সেলেস্তেরা’।
• পাঁচ ম্যাচ পর উরুগুয়েকে হারাল ফ্রান্স।

একাদশ…

উরুগুয়ে : ফার্নান্দো মুসলেরা, মার্টিন ক্যাসেরেস, দিয়াগো গডিন, হোসে গিমেনেজ, দিয়াগো লাশাল্ট, নাহিতান নান্দেজ, ম্যাতিয়াস ভেচিনো, লুকাস তোরেইরা, রদ্রিগো বেনটাঞ্চার, লুইস সুয়ারেজ, ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানি।

ফ্রান্স : হুগো লরিস, বেঞ্জামিন পাভার্ড, রাফায়েল ভারান, স্যামুয়েল উমতিতি, লুকাস হার্নান্দেজ, এঙ্গোলো কান্তে, পল লিবিলে পগবা, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান, করেন্টিন তোলিসো, অলিভিয়ের জিরুদ।

রাশিয়া বিশ্বকাপ পেয়ে গেল তার প্রথম সেমিফাইনালিস্টকে। নিঝনি নভোগোরাদে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম খেলায় লাতিন পরাশক্তি উরুগুয়েকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের আরো কাছে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবারো সেমিতে উঠল তারা।

ম্যাচে দুইদলই লড়েছে সমানতালে। লড়াইটা হয়েছে উরুগুয়ের রক্ষণের সঙ্গে ফ্রান্সের আক্রমণের। কিলিয়ান এমবাপ্পের গতিতে কয়েকবারই পিছিয়ে গেছিল উরুগুয়ে ডিফেন্স, কিন্তু গোলমুখে সঙ্গীর অভাবে কিছু হয়ে ওঠেনি। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় নিয়ে হেড দিয়েছিলেন আগের ম্যাচের নায়ক এমবাপ্পে, তা চলে যায় বারের সামান্য উপর দিয়ে। অবশেষে গোল আসে। গ্রিজম্যানের ফ্রিকিকে অসাধারণ হেডারে ফরাসিদের উল্লাসে ভাসান ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

ম্যাচে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। আক্রমণে আবার সমানে সমান দুই দল। ১১ শটের বিপরীতে অবশ্য উরুগুয়ের অনটার্গেট বেশি। উরুগুয়ের শট চারটি, ফ্রান্সের মাত্র দুই। উরুগুয়ে টের পেয়েছে কাভানির অভাব। সুয়ারেজ চেষ্টা করেছেন একা, কাভানির সঙ্গে যে রসায়নটা জমেছিল সেখানে অন্য কেউ এসে হাল ধরতে পারেনি। আর ‘লেস ব্লুজ’ ফরাসিদের নেওয়া দুই শটের একটি ৬১ মিনিটে, উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরার আজীবন দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে! গ্রিজম্যানের আড়াআড়ি শটে গতি ছিল নিঃসন্দেহে, অভিজ্ঞ ফার্নান্দো মুসলেরার জন্য অতটাও চ্যালেঞ্জিং ছিল না। টানা তিন বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা শতাধিক ম্যাচে গোলবার আগলানো মুসলেরার কাছ থেকে এমন ভুল স্বয়ং মুসলেরাই আশা করেনি, অন্যরা তো দূরের কথা। বলটি গ্রিপ করতে পারত মুসলেরা, তা না করে সোজা তালু দিয়ে ঠেকাতে গেছিল, হাত ফস্কে জালই হয় বলের ঠিকানা।

গোলের পর গ্রিজম্যান উদযাপন করেননি। হয়ত নিজেই হতভম্ব হয়ে গেছিলেন। গ্রিজ্জি চুপ থাকলেও ভক্তরা থাকেনি। বেদনার নীল রং উৎসবে পরিণত, এমন উপলক্ষে চুপ থাকা যায় না। গ্যালারিতে অশ্রুজলে ভিজেছে উরুগুয়ে। ক্ষুদে এক ভক্তের অবুঝ কান্নার মতো মাঠেও স্তব্ধ হয়ে গেছেন সুয়ারেজরা।

ম্যাচসেরা : অ্যান্তোনি গ্রিজম্যন (ফ্রান্স)