আজ যাদেরকে সমঝে খেলার চেষ্টা করবে প্রতিপক্ষ

আজ যাদেরকে সমঝে খেলার চেষ্টা করবে প্রতিপক্ষ

কোয়ার্টার ফাইনালে আজ দুইটি ম্যাচ। ফ্রান্স-উরুগুয়ে নামবে রাত আটটায়, ব্রাজিল-বেলজিয়াম দ্বৈরথ শুরু হবে রাত বারোটায়। তারকার ছড়াছড়ি চার দলেই। এদের মাঝেও কয়েকজন আছেন যারা গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য। নিজ কোচের ভরসা আর বিপক্ষ বসের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এমন কয়েকজনকে নিয়েই আজকের প্লেয়ার টু ওয়াচ…

অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান : বর্তমানে ফ্রান্স দলের অন্যতম সেরা তারকা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড দলে থাকা মানেই দলের শক্তি বেড়ে যাওয়া। চার ম্যাচে দুই গোল করেছেন, দুটিই স্পটকিক থেকে। আশানুরূপ পারফর্ম এখনো করতে পারেননি, আজই কি তবে সেই দিন?

কিলিয়ান এমবাপ্পে : বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ফুটবলার এমবাপ্পে আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই বুঝিয়ে দিয়েছে তাকে নিয়ে মাতামাতি অমূলক নয়। এমবাপ্পের সবচেয়ে বড় শক্তি গতি, সঙ্গে দুর্দান্ত ফিনিশিং। পেলের পর সরসর্বকনিষ্ঠ তারকা হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে জোড়া গোল দিয়েছেন। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ আজ মাথাব্যথা হতে পারেন উরুগুয়েরও।

পল পগবা : গত বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান ফুটবলার পগবা এবার ফরাসি মিডফিল্ডের প্রধান অস্ত্র। লং শুট, পাসিং দক্ষতার সাথে বিপক্ষের আক্রমণ থামানোর ক্ষমতা তাকে পরিণত করেছে সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার রূপে।

এডিনসন কাভানি : এল ম্যাটাডোর খ্যাত কাভানিকে উরুগুয়ের আক্রমণের তাস বলা চলে। নিজের দিনে তিনি কতটা ভয়ংকর তা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছে পর্তুগাল। চোট শঙ্কায় আজ প্রথম একাদশে নাও থাকতে পারেন, কিন্তু মাঠে নামলে তাকে নিয়ে নিশ্চয়ই ছক কষবেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম।

লুইস সুয়ারেজ : কামড়াকামড়ি নয় কেবল, ফুটবলটাও খেলতে জানেন সুয়ারেজ। পর্তুগাল ম্যাচে জোড়া গোল করে কাভানি যদি হন হিরো, তাহলে পর্দার আড়ালের নায়ক সুয়ারেজই। উরুগুয়ের বর্তমান দলের সবচে বড় তারকার বড় শক্তি অভিজ্ঞতা। যেকোন সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া সুয়ারেজ এবারের বিশ্বকাপে গোল করেছেন ২টি, যার একটি রাশিয়ার বিপক্ষে চমৎকার ফ্রি কিকে।

রোমেলো লুকাকু : যেমন গতি, তেমন ক্ষিপ্রতা। যেমন দক্ষতা, তেমন শারীরিক ভাষা। সবকিছুর সমন্বয়ে লুকাকু যেন প্রতিপক্ষের জন্য বিভীষিকা। চার ম্যাচে চার গোল, চলতি আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম যে বহুদূর যাবার নেশায় মত্ত তাতে ভরসা যোগায় লুকাকুর ফর্ম।

কেভিন ডি ব্রুইনি : বেলজিয়ামের মধ্যমাঠের প্রাণ। পুরো দলকে এক সুতোয় গাঁথতে পারঙ্গম ডি ব্রুইনি নিচে থেকে বল বানিয়ে দেন লুকাকু, হ্যাজার্ডদের। কখনো আবার নিজেই উঠে যান আক্রমণে।

কৌতিনহো : ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিজের ঝলক দেখাতে পারেননি পুরোপুরি। তবুও তিতের দলে তার অপরিহার্য তিনি প্রমাণ করেছেন দূরপাল্লার শট, পাসিং দক্ষতায়। নেইমারের সঙ্গে মিলে ব্রাজিলের আক্রমণভাগকে করে তুলেছেন সমীহ জাগানিয়া।

উইলিয়ান : মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে নিজের সেরাটা খেলে নজর কাড়েন সবার। বামপ্রান্ত ধরে দারুণ সব আক্রমণ রচনা করে বুঝতে দেননি মার্সেলোর অভাব। আজ মার্সেলো নামতে পারেন, তারপরেও উইলিয়ানের দায়িত্ব কমবে না। উল্টো ক্যাসেমিরোর অনুপস্থিতিতে মিডফিল্ডে ফার্নান্দিনহোর সঙ্গে তাকে নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব।

নেইমার জুনিয়র : মেসি রোনালদো নেই। বিশ্বকাপের যত আলো সব এখন তার গায়ে। আলোর রোশনাইয়ে ঝলসে যাননি, বরং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলেছেন চলতি আসরে নিজের সেরা খেলাটা। ৪ ম্যাচে ২ গোল, ১ অ্যাসিস্ট বলবে, নেইমার আহামরি কিছু করেননি। অবশ্য এই আহামরি ছেলেটাই যথেষ্ট একটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে তা সম্পর্কে সকলেই অবগত। আর তাই আজ প্রতিপক্ষ যখন ভয়ংকর বেলজিয়াম, ব্রাজিল ভক্তরা তখন নেইমারে উচ্চাকাঙ্ক্ষী।