লটকনের উপকারিতা

লটকনের উপকারিতা

বর্ষা মৌসুমে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই সহজলভ্য একটি ফল লটকন। লটকন এক প্রকার টক-মিষ্টি স্বাদের ফল। বিভিন্ন অঞ্চলে এর বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন, ডুবি, কানাইজু, বুবি, লটাকাও, লটকা, কিছুয়ান ইত্যাদি। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বর্তমানে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বাণিজ্যিক চাষ হয়। লটকন গাছ ১০-১২ মিটার লম্বা হয় এবং এর উপরের অংশ ঝোপের মতো ছড়িয়ে থাকে। কিন্ত মজার বিষয় হল ছড়ানো ডালপালায় লটকন ধরে না। লটকন হয়ে থাকে পরিণত গাছের ডালের গা ঘেষে। ফলের আকার দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের রঙ হলদেটে।

লটকন সরাসরি খাওয়া হয়ে থাকে, তবে এটিকে জ্যাম করেও খাওয়া যায়। সাধারণ ফলজ গুণাগুণ ছাড়াও লটকনের রয়েছে নানান উপকারিতা। লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’। যার পরিমাণ ১০.২৪ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্য হিসেবে মানসম্মত।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। যা কাঁঠালের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিদিন দু-তিনটি লটকন আপনার দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে।

এছাড়াও লটকনের রয়েছে ভেষজ নানা গুণ। লটকন বমির উপর উপস্থিত কাজ করে। তৃষ্ণা নিবারণে বেশ কার্যকর এই ফল। এতে অ্যামাইনো এসিড ও এনজাইম থাকায় দেহকোষ গঠনে কাজ করে।

লটকন গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়। লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরনো জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি লটকনের বীজ গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।