কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস। গতকাল বুধবার দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্টে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত চার দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হতে দেখে গেছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের পুলিশ বাহিনীকে।
জার্মান দূতাবাসের নিন্দাবার্তায় বলা হয়েছে, “বিগত কয়েক দিনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্মমভাবে হামলার ঘটনায় ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা এই দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। এসব হামলা আইনের শাসন তথা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকারের সাথে সাংঘর্ষিক।”
গত শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করতে আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটা আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংগঠনের যুগ্ন-আহবায়ক নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
এরপর দিন রবিবার কোটা আন্দোলনের যুগ্ন-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে তুলে নিয়ে গিয়ে আইসিটি মামলায় গ্রেফতার দেখায় ডিবি পুলিশ। সোমবার রাশেদ খানের মুক্তির দাবিতে ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রীদেরকেও মারধর করা হয়।
মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একই দিন রাজধানীর প্রেসক্লাবে অভিভাক ও নাগরিক সমাবেশে চড়াও হয় পুলিশ। সেখান থেকেও একজন অধ্যাপকসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।