কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হক-এর লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুর বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর আরশাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. গীতি-আরা-নাসরীন। তিনি বলেন, “প্রায় একশ’ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী ইতিহাসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক সদস্যের সংগ্রামের ইতিহাস জড়িত। যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মাধ্যমে সেইসব সংগ্রাম, ইতিহাসের কথা স্মরণ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আজকে সেসব স্থাপনাতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে । আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক । কিন্তু আজকে আমরা, শিক্ষার্থীরাসহ কেউ নিরাপদে নেই।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদি বলেন, “আমরা এখন ফ্যাসিবাদী সরকার শেখ হাসিনার অধীনে রয়েছি। এখানে মত প্রকাশের কোনও সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি লাইক দেয়াও যায় না এখন। সব জায়গায় হস্তক্ষেপ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। এর আগেও বহুবার আমরা মানববন্ধন করেছি; কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।”
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মানববন্ধনে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে এক কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে ন্যাক্কারজনকভাবে লাঞ্ছিত হন ড. ফাহমিদুল হক সহ কয়েকজন শিক্ষক।