সুইডেন ১-০ সুইজারল্যান্ড
ফোর্সবার্গ ৬৬
একাদশ :
সুইডেন : রবিন ওলসেন; মিখাইল লুস্টিগ, ভিক্টর লিন্ডেলফ, আন্দ্রিয়াস গ্রাঙ্কভিস্ট, লুডিগ অগাস্টিনসন; ভিক্টর ক্লায়েসন, গুস্তাভ ভেনসন, অ্যালবিন একদাল, এমিল ফোর্সবার্গ; মার্কাস বার্গ, ওলা টইভোনেন।
সুইজারল্যান্ড : ইয়ান সমার; মিশেল ল্যাং, ইয়োহান জোরু, ম্যানুয়েল অ্যাকেঞ্জি, রিকার্ডো রদ্রিগেজ; ভ্যালন বেহরামি, গ্রাণিত শাকা; জার্দান শাকিরি, ব্লেরিম জিমাইলি, স্টিভেন জুবের; ইয়োসেফ দ্রামিচ।
• ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ জিতেছে সেবারের ফাইনালিস্ট সুইডেন।
• ১৯৯৪ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সুইডেন।
• এর আগে ২৯ বার দেখা হলেও প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে এটি দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ।
• শেষ আটে সুইডেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচের জয়ী দল।
১৯৯৪ সালের পর আর বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছায়নি সুইডেন, ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৯৫৪ বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল সুইসরা।
একদল ২৪ বছর, আরেকদল ৬৪ বছর পর আবারো কোয়ার্টার ফাইনালের দুয়ারে দাঁড়িয়ে। সে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকবে কে, কারাই বা অপেক্ষা করবে আরো চার বছর? সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে ৬৬ মিনিটে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুইডিশ মিডফিল্ডার এমিল ফোর্সবার্গ। সুইস ডিফেন্ডারকে ভেল্কি দেখিয়ে সোজা শট নিলেন গোলে, ডিফেন্ডার অ্যাকেঞ্জির পায়ে লেগে দিক বদলে বল চলে যায় জালে।
এর আগে পরে লড়াই করেছে দুইদল। আবেদনে কিংবা ধারেভারে কোয়ার্টার ফাইনালের সবচাইতে কম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। কিন্তু ওই যে, এটা রাশিয়া বিশ্বকাপ! প্রতি সেকেন্ডই উৎকন্ঠার, প্রতি ন্যানোসেকেন্ডই উত্তেজনার। নব্বই মিনিটে এমন কয়েকটি গল্পই রচিত হতে পারত। শাকিরির ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স, ছয় দশক পরে সুইসদের কোয়ার্টারে ওঠার স্বাদ আস্বাদন। খড়ের গাঁদায় সুঁই খোঁজার মতোই দুই দলই ম্যাচজুড়ে গোল খুঁজেছে। কখনো ডিফেন্সের দায়িত্বে, কখনো বা ফরোয়ার্ডের ভুলে, কখনো আবার গোলরক্ষকের সেইভে গোলশূন্য থাকে প্রথমার্ধ।
ম্যাচে লড়াই হয়েছে সুইজারল্যান্ড এর আক্রমণের সঙ্গে সুইডেন রক্ষণের। সুইডেন কোচের কৌশলই ছিল বিপক্ষের আক্রমণ নস্যাৎ করা, ঝোপ বুঝে পাল্টা আক্রমণ শানানো। কোচের চাহিদা অনুযায়ী খেলে লুস্টিগ, গ্রাঙ্কভিস্টরা দলকে এনে দিয়েছেন জয়। ৩৯টি ডুয়েল, ১৫টি এরিয়াল উইন আর ১০টি ব্লক বলে দেয় ডিফেন্সে কতটা সজাগ ছিল ‘দি ব্লাগল্ট’ খ্যাত সুইডেন।
এদিকে একের পর এক আক্রমণ করলেও শেষমেশ আর গোলের দেখা পায়নি শাকিরিরা। ৬৩ শতাংশ বল দখল, ৩৯টি ক্রস, ১৮টি শট তাই তাদের কষ্টটাই বাড়াবে বেলাশেষে। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া মাইকেল ল্যাং উল্টো লজ্জা বাড়ালো আরেকটু, সঙ্গে আরো চার বছরের অপেক্ষা। এবারো যে রাউন্ড অব সিক্সটিনের গেরোটা খুলতে পারল না ‘সুইজার নাটি’রা!
ম্যাচসেরা : এমিল ফোর্সবার্গ (সুইডেন)