এবারের বিশ্বকাপ যেন অনিশ্চয়তার প্রতিবিম্ব। ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়, স্বপ্ন ভাঙে, স্বপ্ন গড়ে। শেষ ষোলোর শেষদিনে একে অপরের মুখোমুখি হবার আগে সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড তা বুঝেছে ভালভাবে। গ্রুপ পর্বে দুইদলই জিতেছে শেষ খেলায়। সুইডেন মেক্সিকোকে, সুইজারল্যান্ড হারায় কোস্টারিকাকে। তার ওপর আজ পূর্ণশক্তির দলই নামাতে পারবে দুই শিবির, নকআউট পর্বের দম বন্ধ করা আবহের আগে ইউরোপিয়ান শিবিরে তাই স্বস্তি।
সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ৯৮ বছর আগে। মোট দেখা ২৯ বার। সুইসদের জয় ১১ ম্যাচে আর ১০ ম্যাচ জিতেছে সুইডিশরা। মজার ব্যাপার, এতবার দেখা হলেও এর আগে কখনোই প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে একে অপরের মোকাবেলা করেনি। বলা যায়, শত্রু চেনা আবার অচেনাও।
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সুইজারল্যান্ড কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচের মন্তব্য– “সুইডেন গ্রুপ পর্বে ভাল খেলে এসেছে। ওদের দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের দারুণ এক সমন্বয় রয়েছে। আক্রমণভাগ যেমন আগ্রাসী, রক্ষণও তেমন জমাট। আমরাও নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েই এসেছি।”
সুইসদের সম্পর্কে সুইডিশ কোচের ভাবনা কেমন? ইয়ান অ্যান্ডারসন বলেন– “গ্রুপ পর্বে ওরা ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছিল। বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দলের সঙ্গে ড্র করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে, ওসব নিয়ে ভাবছি না। আমরা আমাদের সেরাটা খেলে জিততে চাই।”
১৯৯৪ সালের পর আর বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছায়নি সুইডেন, ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৯৫৪ বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল সুইসরা।
একদল ২৪ বছর, আরেকদল ৬৪ বছর পর আবারো কোয়ার্টার ফাইনালের দুয়ারে দাঁড়িয়ে। সে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকবে কে, কারাই বা অপেক্ষা করবে আরো চার বছর? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
সম্ভাব্য একাদশ
সুইডেন (৪-৪-২) :
রবিন ওলসেন; মিখাইল লুস্টিগ, ভিক্টর লিন্ডেলফ, আন্দ্রিয়াস গ্রাঙ্কভিস্ট, লুডিগ অগাস্টিনসন; ভিক্টর ক্লায়েসন, গুস্তাভ ভেনসন, অ্যালবিন একদাল, এমিল ফোর্সবার্গ; মার্কাস বার্গ, ওলা টইভোনেন।
সুইজারল্যান্ড (৪-২-৩-১) :
ইয়ান সমার; মিশেল ল্যাং, ইয়োহান জোরু, ম্যানুয়েল অ্যাকেঞ্জি, রিকার্ডো রদ্রিগেজ; ভ্যালন বেহরামি, গ্রাণিত শাকা; জার্দান শাকিরি, ব্লেরিম জিমাইলি, স্টিভেন জুবের; ইয়োসেফ দ্রামিচ।