ফিলিস্তিনের সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাসের সাথে যুক্ত থাকা দু’টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। এছাড়াও তারা হামাস এবং হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট ৩৫টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে।
ইসরায়েলের পাবলিক সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী গিলাড এরদান’র চিঠির দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। টুইটারের প্রধান নির্বাহীকে পাঠানো চিঠিতে এরদান বলেন, “আপনার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের উন্মুক্তভাবে পরিচালনা করছে এবং বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতা এবং ইসরায়েলের আইন লঙ্ঘন করার শামিল।”
অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার পর, টুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসি বলেন, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সন্ত্রাসী কন্টেন্ট এবং অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে ফিলিস্তিনি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এমন টুইটার অ্যাকাউন্টের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা পাঠানো হয় এবং তা বন্ধ না করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেয়া হয়। গত সোমবার, ইসরায়েল থেকে হামাসের টুইটার পেজ @hamasinfo-তে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। সেখানে লেখা ওঠে, বৈধ দাবির ভিত্তিতে ইসরায়েলে অ্যাকাউন্টটিকে বন্ধ রাখা হয়েছে। টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া কতটা বৈধ দাবি সেটাও ভাববার বিষয়।
বন্ধ করা এই অ্যাকাউন্টগুলোতে ইসরায়েলের বাইরে থেকে প্রবেশ করা যাবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে লেখা উঠবে, “এই প্রোফাইলে সংবেদনশীল কন্টেন্ট থাকতে পারে।”
মার্চে ইসরায়েলি আইন মন্ত্রী আয়ালেত শেকড অভিযোগ করেছিল যে, হামাস এবং হিজবুল্লাহ’র মতো সংগঠনগুলি ফেসবুকের বদলে টুইটারে তাদের অ্যাকাউন্ট খুলছে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ফেসুবকের সাথে তাদের সহযোগিতামুলক যোগাযোগকে। অন্যদিকে টুইটারের সাথে তাদের যোগাযোগের অভাবকে কাজে লাগাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বছর মার্চে ফেসবুক ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ‘সাফা’র ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেয় এবং পূর্বে তারা একশ’রও বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল।
জানুয়ারিতে, ইসরায়েলি সরকার ‘ফেসবুক আইন’ করে যা ফেসবুক থেকে কন্টেট মুছে ফেলা বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অধিকার রাখে। এতে করে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হয়রানির শিকার হতে দেখা গেছে। ইসরায়েলের সমালোচনা করা বা নিজ মত প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এতে করে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আধিপত্যে যোগ দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা পরবর্তী বিশ্বের জন্য কোন ভাবেই ভালো দিক হিসেবে বিবেচিত হবে না।