আজ বাংলাদেশ সময় রাত বারোটায় রুস্তভ অ্যারিনাতে রাউন্ড অফ ১৬ এর ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইউরোপিয়ান পাওয়ার হাউজ বেলজিয়াম এবং এশিয়ার প্রতিনিধি জাপান। বিশ্বকাপে দু’ দলের মধ্যে এটি হবে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ।
বেলজিয়াম
রেড ডেভিলদের লক্ষ্য জাপানকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করা। বিশ্বকাপে কোয়ার্টারই বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ সাফল্য। ১৯৮৬ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল বেলজিয়াম। গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচ জিতে বেশ আনন্দেই আছেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। এখন তার সামনে মধুর সমস্যা। শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলেও ইংল্যান্ডকে হারানোর পর বেঞ্চের খেলোয়াড়রাও মূল একাদশে জায়গা পাবার দাবি জোরালো করেছে। আশা করা যাচ্ছে বেলজিয়াম ওপেন এবং আক্রমণাত্বক ফুটবলই খেলবে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে এ ম্যাচে একটি হলুদ কার্ড পরের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে পারে মুনিয়ার, ভের্টোগেন, ডি ব্রুইনি, টেলেমান্স কিংবা ডেন্ডোকারকে।
সম্ভাব্য একাদশ : কর্তোয়া, ভের্টোগেন, কম্পানি, অল্ডারওয়াইর্লড, উইটসেল, ডি ব্রুইনি, কারাসকো, মুনিয়ার, মার্টিন্স, হ্যাজার্ড, লুকাকু।
জাপান
বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম দল হিসাবে ফেয়ার প্লেতে রাউন্ড অফ ১৬ নিশ্চিত করা জাপান বেশ উজ্জীবিত এ ম্যাচটি নিয়ে। অভিজ্ঞ জাপানি দলটি চাইছে বেলজিয়ামকে চমকে দিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করতে। এ ম্যাচটি কাওয়াশিমা, হাসেবে, নাগামুটু এবং ওকাজাকির জন্য একটি বিশেষ ম্যাচ। এ ম্যাচে মাঠে নামলেই তারা ছুঁয়ে ফেলবেন বিশ্বকাপে জাপানের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা হোন্ডাকে। এমন একটি ম্যাচের আগে অনুপ্রাণিত করতে এর চেয়ে বেশি আর কি লাগে? শেষ ম্যাচে ৪-৪-২ এ খেলে পোল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে জাপান প্রথম দু’ ম্যাচের ফর্মেশন ৪-৩-২-১ এই ফিরে যাবে। এ ম্যাচে জাপানের হয়ে হলুদ কার্ডের খড়গ মাথায় নিয়ে নামবেন কাওয়াশিমা, হাসিবে, মাকিনো এবং ইনুই।
সম্ভাব্য একাদশ : কাওয়াশিমা, সাকাই, ইয়োশিদা, শোজি, নাগামুটু, হাসেবে, শিবাসাকি, হারাগুচি, কাগাওয়া, ইনুই, ওসাকা।