পর্তুগাল
• গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্র নিয়ে রানার আপ হয়ে শেষ ষোলতে আসে পর্তুগাল।
• বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে নকআউট পর্বে এখনো গোলবিহীন রোনালদো। সময়ের হিসাবে যা ৪২৪ মিনিট।
• উরুগুয়ের সঙ্গে দুই দেখায় এক জয়, এক ড্রতে অপরাজিত পর্তুগাল।
• ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে ০-৪ গোলে হারার পর এখন পর্যন্ত টানা ১৬টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজেয় পর্তুগাল। রয়েছে সমান ৮টি করে জয় এবং ড্র।
উরুগুয়ে
• এবার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবগুলো জেতা তিন দলের একটি উরুগুয়ে।
• এখন পর্যন্ত উরুগুয়ের গোল পাঁচটি, সবকটাই সেট পিস থেকে। একমাত্র দল হিসেবে কোন গোল খায়নি তারা।
• সর্বশেষ ম্যাচে গোল পেয়েছেন দলের দুই প্রধান তারকা লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানি।
• সেই ১৯৩০ সালের পর বিশ্বকাপে আর কখনোই টানা চার ম্যাচ জেতেনি উরুগুয়ে।
সোচির ফিস্ট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় খেলায় মাঠে নামবে উরুগুয়ে বনাম পর্তুগাল। এই মাঠ থেকেই এবার বিশ্বকাপযাত্রা শুরু হয় পর্তুগালের। স্পেনের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হ্যাট্রিকে ৩-৩ এ ড্র করে সেলেসাওরা। পর্তুগিজদের আছেন রোনালদো, উরুগুয়ের আছে একজোড়া অস্ত্র। সুয়ারেজ, কাভানি কতটা কি করতে পারেন তা দেখিয়েছেন স্বাগতিক রাশিয়ার সাথে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। এখানেই পিছিয়ে পর্তুগাল! শেষ ম্যাচে রোনালদো ছিলেন নিঃষ্প্রভ, অন্তিম পাঁচ মিনিট ইরানের বিরুদ্ধে হারের শঙ্কায় কাঁপছিল তারা। তা হয়নি, ভালোয় ভালোয় উতরানো গেছে গ্রুপপর্ব।
অগ্নিপরীক্ষা আরম্ভ আজ। পা হড়কানোর সুযোগ নেই, পরাজয় মানে পত্রপাঠ বিদায়। দুঃসময়ে বহুবার দলের ত্রাতা হওয়া রোনালদো কি পারবেন আরেকবার? কাজটা সহজ হবে না। উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজ বলে রেখেছেন– ‘রোনালদো সেরাদের একজন। ও দুর্দান্ত ফর্মে আছে। দুই একজন দিয়ে ওকে আটকানো সম্ভব নয়, সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে’। তাবারেজ জানেন, রোনালদোকে আটকালে অর্ধেকটা অকেজো পর্তুগাল। তবে, পর্তুগিজ বস ফার্নান্দো সান্তোসের কথায় ভরসা পেতে পারে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের ভক্তরা। ‘আমাদের দলে একজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড় আছে। কিন্তু, নকআউটে আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। রোনালদো ছাড়াও আরো বাইশ জন আছে। আমরা একটা টিম হিসেবেই খেলবো’।
উরুগুয়ের আত্মবিশ্বাস আছে অনেক। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ক্লিনশীট রেখেছেন ফার্নান্দো মুসলেরা। পর্তুগালের জন্য আরেকটি ভয়ের কারণ, ‘উরুগুয়ের সেটপিস’। প্রথম রাউন্ডে করা ৫ গোলের প্রত্যেকটি সেটপিসের ফসল। কর্ণার থেকে তিন, সরাসরি ফ্রি কিকে সুয়ারেজের গোল, আর আরেকটি আসে ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে। স্পেনের বিপক্ষে ফ্রি কিকে রোনালদোও করেছেন চমৎকার এক গোল। তাছাড়া, পুরো দল আছে ফর্মে, যা কি না লাতিন দলটির জন্য বাড়তি পাওনা। তিন ম্যাচে ফেয়ার ফুটবল খেলে উরুগুয়ে কার্ড দেখেছে মাত্র একটি, যেখানে রোনালদোসহ পর্তুগালের সংখ্যা ছয়। এদিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে ‘দ্য স্কাই ব্লুস’।
লড়াইয়ের ভেতর জমাটি লড়াই। রোনালদো-গদিন, সুয়ারেজ পেপে। রোনালদো, সুয়ারেজদের বিশ্বস্ত কাঁধে চেপেই কি শেষ বিশ্বকাপে পথচলা সচল রাখবে দুই দল, নাকি অন্য কেউ নেবেন দায়িত্বটা! প্রশ্নের উত্তর মিলবে মাঝ রাতে, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর…