আর্জেন্টিনা
• ‘৮৬ পর প্রতিটি বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার আশাভঙ্গ হয়েছে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর হাতে।
• বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে ডিয়াগো ম্যারোডোনার সার্বাধিক জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লিওনেল মেসি এবং হাভিয়ের মাশ্চেরানো। তারা প্রত্যেকেই জিতেছেন ১২ টি করে ম্যাচ।
• ‘১৪র বিশ্বকাপে চিলির দায়িত্বে থাকা হোর্হো সাম্পাওলি রাউন্ড অফ ১৬ থেকে বাদ পরেছিলেন ব্রাজিলের কাছে হেরে। খেলাটির নিষ্পত্তি হয়েছিল পেনাল্টিতে।
• আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ১৪টি নক-আউট ম্যাচের ৮টি ম্যাচ ৯০ মিনিট শেষে সমতায় থেকে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির নিষ্পত্তি হয়েছে পেনাল্টিতে এবং বাকি তিনটির অতিরিক্ত সময়ে। এ আট ম্যাচের ছয়বারই আর্জেন্টিনা পরের রাউন্ডে উঠেছে।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ : ফ্রাঙ্কো আরমানি, গ্যাব্রিয়েল মার্কাদো, নিকোলাস ওতামেন্দি, মার্কাস রোহো, নিকোলাস ট্যাগলেফিকো, ইভান বানেগা, হাভিয়ের মাশচেরানো, এনজো পেরেজ, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েইন
ফ্রান্স
• রাউন্ড অফ সিক্সটিনে নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের সবকটিই জিতেছে ফ্রান্স।
• বিশ্বকাপে প্রথমারের মতো টানা তিনটি ক্লিনশিট রাখার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে লেস ব্লুজরা।
• কিলিয়ান এমবাপ্পের সামনে সুযোগ বিগত ২০ বছরের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় টিন এজার হিসাবে নক-আউটে গোল করার। আমেরিকার জুলিয়ান গ্রিন চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে এ কাজটি করেছিলেন।
• ফ্রান্সের বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশম ‘৯৮ এর বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক। কোচ এবং অধিনায়ক; দুই ভূমিকায়ই বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু দুই জনের। ব্রাজিলের মারিও জাগালো এবং জার্মানির ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
ফ্রান্সের সম্ভাব্য একাদশ
হুগো লরিস, বেঞ্জামিন পাভার্দ, রাফায়েল ভারান, স্যামুয়েল উমতিতি, লুকাস হার্নান্দেজ, পল পগবা, এনগোলো কন্তে, কিলিয়ান এমবাপ্পে, এন্তোনিও গ্রিজম্যান, ওসমান ডেম্বেলে, ওলিভার জিরুড
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের নক-আউট পর্ব। বিশ্বের অন্যতম দুই ফুটবল পরাশক্তি এ আসরের অন্যতম ফেভারিটও। দুই দলেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় সব তারকা। আজকের লড়াইটা হবে লিওনেল মেসি এবং ডি মারিয়ার সাথে পল পগবা এবং গ্রিজম্যানের। ফুটবল দর্শকদের জন্য বেশ লোভনীয় একটি লড়াই হতে যাচ্ছে এটি।
দুটি জয় এবং একটি ড্র নিয়ে সহজেই গ্রুপ পর্ব পার হওয়া ফ্রান্সকে এখনো সে অর্থে কোনো কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি। তাই, এ ম্যাচটিকে এক অর্থে দিদিয়ের দেশমের দলের প্রথম প্রকৃত পরীক্ষা বলা যায়। গ্রুপ পর্বে চরম নিষ্প্রভ গ্রিজম্যানের এখন জ্বলে ওঠাটা আবশ্যক। দলের অন্যতম মূল তারকার নিষ্প্রভ ফর্ম গ্রুপ পর্বে কোনো ইফেক্ট না ফেললেও নক-আউটে বেশ বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলোর বিপক্ষে সর্বশেষ আট ম্যাচ অপরাজিত থাকার তথ্যটা যেমন ফ্রান্সকে স্বস্তি দিবে, তেমনি অস্বস্তির কারণও রয়েছে একটা। লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সকে শেষবার পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল এই আর্জেন্টিনাই; ১৯৭৮ এর বিশ্বকাপে।
গ্রুপ পর্ব একদম শেষ মুহুর্তে পার হওয়া আর্জেন্টনার জন্য এ ম্যাচটি একটি নতুন শুরু হবে নিঃসন্দেহে। নানা নাটকীয়তার পর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পাওয়া জয়টি যে শেষ বিশ্বকাপের রানার্স আপদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাড়তি পাওনা হিসাবে রয়েছে দলের মধ্যমণি লিওনেল মেসির ছন্দে ফেরা এবং গোল পাওয়াটা। গ্রুপ পর্ব যেমনই যাক, এটি একটি নতুন ম্যাচ। সে হিসাবে গ্রুপ পর্ব বিবেচনায় আর্জেন্টিনাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া হবে চরম বোকামি।