ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই

অবশেষে হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক। আগামী ১৬ জুলাই ব্রাসেলসে ন্যাটো’র বৈঠকের পর ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিকে এই বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। গত বছরের নভেম্বরে এশিয়া প্যাসিফিক সম্মেলনের সময় ভিয়েতনামে শেষবার দেখা হয়েছিলো বিশ্ব রাজনীতির শীর্ষ এই দুই নেতার।

শীর্ষ এ বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প ও পুতিন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। বৈঠকের পরিবেশ সৃষ্টি ও দিনক্ষণ ঠিক রা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন অবস্থান করছেন রাশিয়ায়। তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই শত্রু রাষ্ট্রের প্রধানদের এই বৈঠক নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। বৈঠকের আগে ও পরে কী ঘটে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ফলাফলই কী তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে গণমাধ্যম।

ভাবনার কেন্দ্রভূত এসেছে, কী নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। মস্কো অপতৎপরতা চালাচ্ছে এ নিয়ে রাশিয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ডজন খানেক কূটনীতিক বহিস্কার করেছিল দু’পক্ষই। তাদের এই মারমুখী সম্পর্কের অবসান ঘটতে পারে এই বৈঠকে।

তবে রাশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আশা করছেন, সিরিয়া ইস্যু, ইউক্রেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রভৃতি বিষয় গুরুত্বপাবে আলোচনায়। ট্রাম্পও বলেছেন, বৈঠকে পুতিনের সঙ্গে সিরিয়া ও ইউক্রেনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

তারপরও সন্দেহ রয়ে যায়, বৈঠক হবে তো? নাকি ট্রাম্প বৈঠক-বৈঠক খেলা খেলছেন। হলেও বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কে লাভবান হবে? আলোচ্য ইস্যুতে দু’পক্ষই হয়তো নানান প্রতিশ্রæতি দেবেন। স্বাক্ষরিত হতে পারে চুক্তিও। কিন্তু কে কতটুকু পালন করবেন তা। সেটাই দেখার বিষয়!