আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হতে যাওয়া দু’দেশের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কথা ছিল আগামী ৬ জুলাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব মিশেল পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। কিন্তু সেই বৈঠকই স্থগিত করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রাশাসন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এক টুইট বার্তায় বৈঠক স্থগিতের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন, কিছু জরুরি কারণে ওইদিন বৈঠক হবে না। পরে দু’দেশের সুবিধামতো আলোচনার দিন ঠিক হবে।
US @SecPompeo spoke to EAM @SushmaSwaraj a short while ago to express his regret and deep disappointment at the US having to postpone the 2+2 Dialogue for unavoidable reasons. 1/2
— Raveesh Kumar (@MEAIndia) June 27, 2018
গত কয়েকদিন ধরে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জি-৭ এর বৈঠকে সব দেশকে করের দেয়াল ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্য সাড়া না পাওয়ায় তিনিও বেকে বসেন। ভারত থেকে আমদানি হওয়া ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের আরোপিত করের পরিমাণ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা ভারতও আমেরিকার ২৯টি পণ্যে ১০০ শতাংশের উপর কর আরোপ করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের মতো বেশ কয়েকটা দেশ মার্কিন পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। তার দাবি, সেই শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাঙ্ক হিসেবে ভেবে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বেশ কয়েকটা দেশ। চিনের সঙ্গে বাণিজ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যেও। কিন্তু এ ঘটনা চলতেই থাকবে, তা হতে পারে না।’’ এতে করে ভারতের পণ্যের উপর কর আরোপ করে তা আমেরিকায় প্রবেশকে কঠিন করে তুলবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের এই সংকটই অবশেষে বৈঠক স্থগিত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আমেরিকা-ভারতের এই টানাপোড়েন কোথায় গিয়ে ঠেকে!