বাঁচা মরার লড়াইয়ে নামছে ব্রাজিল-সার্বিয়া

বাঁচা মরার লড়াইয়ে নামছে ব্রাজিল-সার্বিয়া

হাজারো জল্পনা কল্পনার পরে গতরাতে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। আজকে লাতিন অ্যামেরিকার আরেক জায়ান্ট টিম ব্রাজিল খেলবে সার্বিয়ার সাথে। খেলাটি সার্বিয়ার জন্যে বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্ত ব্রাজিলের জন্যেও কি তাই? হ্যাঁ আসলেই তাই; সার্বিয়া জিতলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে ব্রাজিল হেরে গেলে বিদায় নিতে হবে গ্রুপ পর্ব থেকেই। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিশ্চই চাইবেন না গত বিশ্বকাপের লজ্জার পর এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই চলে যেতে। দেখে নেয়া যাক দুই দলের ইতিহাস এবং সমসাময়িক ফর্ম কি বলে।

ফিফা র্যাংযকিং এর ২য় স্থান অধিকারী ব্রাজিলের সাথে ৩৪ তম দল সার্বিয়ার আজকে ২০ তম মোলাকাত।

সার্বিয়ার (প্রাক্তন যুগোস্লোভিয়া) সাথে বিশ্বকাপে ৫ম বারের মত সাক্ষাত হতে যাচ্ছে ব্রাজিলের। আগের ৪ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দল একবার করে জেতে। বাকি দুইটি ম্যাচ ড্র হয়।

সার্বিয়া অর্থাৎ প্রাক্তন যুগোস্লওভিয়ার সাথে ব্রাজিলের প্রথম খেলাটি ছিল ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপে। যুগোস্লোভিয়া ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল।

বিশ্বকাপ সহ সব মিলিয়ে ব্রাজিল এবং সার্বিয়ার (যুগোস্লোভিয়া) মধ্যকার ১৯ খেলায় ব্রাজিল দশবারই জিতে। ৭ খেলা ড্র হয় এবং সার্বিয়া মাত্র দুইবার জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।

স্বাধীন দেশ হিসেবে সার্বিয়া এর আগে একাবারই খেলেছে ব্রাজিলের সাথে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটিতে ব্রাজিল ১-০ গোলে বিজয়ী হয়।

যেকোন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ব্রাজিল তাদের শেষ ১৩ ম্যাচে অপরাজিত। ১৩ খেলার মধ্যে ৯ খেলায়ই জয়লাভ করে তারা এবং ৪ টির ফলাফল ড্র হয়। তাছাড়া ব্রাজিলের দুর্ভেদ্য রক্ষণ ভেঙে মাত্র তিনবার জালে বল পাঠাতে সক্ষম হয় প্রতিপক্ষ।

অন্যদিকে ইউরোপিয়ান দলের সাথে বিশ্বকাপ তাদের সমসাময়িক প্রদর্শনী আশানুরূপ না। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে শেষ ৭ খেলার মধ্যে মাত্র একটা জয় আনতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার সাথে ২০১৪ সালে একমাত্র জয়টি আসে।

স্বাধীনতার পরে সার্বিয়া, বিশ্বকাপে খেলা আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে জয়লাভ করে। দুই ম্যাচে এক গোল ও হজম করতে হয়নি সার্বদের।

সার্বিয়ার সাথে খেলায় ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে স্ট্রাইকার মিত্রোভিচ। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এই বছর দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। শুধুমাত্র ২০১৮ সালে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ও জাতীয় দলের হয়ে তার গোল সংখ্যা ২৬ ম্যাচে ১৮।

অন্যদিকে ব্রাজিলের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন বার্সা মিডফিলডার কৌতিনহো। ব্রাজিলের হয়ে শেষ তিন ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচেও ব্রাজিলের জয়ের নায়ক কৌতিনহো। তাছাড়া নেইমার তার শেষ ১৭ ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে ১০ গোল ও ৮ এসিস্ট করে ১৮ গোলে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।