পরিসংখ্যান যে ভিত্তিহীন; আরেকবার প্রমাণ করল এশিয়ান টাইগার্স

পরিসংখ্যান যে ভিত্তিহীন; আরেকবার প্রমাণ করল এশিয়ান টাইগার্স

আচ্ছা, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কি দোষের? প্রশ্ন শুনে হাসতে পারেন। ২০০৬ এর চ্যাম্পিয়ন ইতালি ২০১০ এ, ২০১০ এর চ্যাম্পিয়ন স্পেন ২০১৪ তে, ২০১৪ এর চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ২০১৮ তে! হ্যাঁ, তিনটি দলকেই অভিন্ন অভিশাপের অনলে পুড়তে হয়েছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে পরের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ইউটার্ণ!

আজ জার্মানির সামনে সমীকরণ ছিল একেবারে পানির মতো সহজ। জিততে হবে কেবল। জয় দূর, ড্রও করতে পারেনি জোয়াকিম লো অ্যান্ড কোম্পানি! ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের তৃতীয় ও ষষ্ঠ মিনিটে গোল খেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ০-২ ব্যবধানে পরাস্ত হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের চতুর্থ দল জার্মানি! অথচ, তরুণ এবং ব্যালেন্সড এক দল নিয়ে গতবছর কনফেডারেশন্স কাপ জিতে ভালোকিছুর বার্তাই দিয়েছিল নয়্যার, মুলাররা। কিন্তু মূলপর্বে তথৈবচ! প্রথম ম্যাচে এসেই খেই হারায় জার্মানি। মেক্সিকোর সামনে বিকল জার্মানযন্ত্র। পরের ম্যাচে ফিনিক্স পাখি হয়ে ফিরেছে ছাঁইয়ের গাদা থেকে। শেষরক্ষা আর হল না। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শক্তিতে যেমন, পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ছিল জার্মানরা। কোরিয়ার সঙ্গে দুই দেখায় দুই জয়, এমনকি বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলির বিরুদ্ধে পাঁচবারের দেখায় প্রত্যেকবারই শেষ হাসি হেসেছিল তারা।

তবে, রাশিয়ায় বসা বিশ্বকাপে একবিংশতম আসরে যে পরিসংখ্যান, বিশ্লেষণ, সম্ভাবনা সব ভিত্তিহীন, সেটি আরেকবার প্রমাণ করল ‘এশিয়ান টাইগার্স’ দক্ষিণ কোরিয়া।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এমন হতশ্রী চেহারা প্রথমবার বিশ্বকাপ ফুটবল দেখেছিল ১৯৫০ এর আসরে। ১৯৩৮ এর বিশ্বকাপজয়ী ইতালি ১৯৫০ এর ব্রাজিল মহাযজ্ঞে বাদ পড়ে। অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১২ বছরের লম্বা বিরতি প্রভাব ফেলতেই পারে। তারপর ১৯৬৬তে ব্রাজিল, ২০০২ এ ফ্রান্স বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেও প্রথম রাউন্ডেই বাদ যাবার লজ্জা পায়।