ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, ফ্রান্স-ডেনমার্কের ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ

ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, ফ্রান্স-ডেনমার্কের ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ

পেরু                   ২ – ০                 অস্ট্রেলিয়া
ক্যারিয়ো ১৮
গুয়েরেরো ৫০

৩৬ বছর বিশ্বকাপে এসে দুই ম্যাচ হেরে আগেই বিদায় নেয় পেরু। সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চান কোচ রিকার্ডো গারেচা। বলেছিলেন, শেষ ম্যাচটা জিততে চান ভক্তদের জন্য। মাঠে খেলোয়াড়রা কোচের কথা রেখেছে। সমীকরণের সুতোয় ঝুলতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য কেটে দিয়ে তুলে নেয় ২-০ ব্যবধানের জয়।  দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না টিম অস্ট্রেলিয়ার, পেরুভিয়ানদের উপর ঝাপিয়েও পড়ে সকারুরা। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ১৮ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে। পাওলো গুয়েরেরোর পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে গোল করেন আন্দ্রে ক্যারিয়ো। প্রথমার্ধ্বে এরপর কোন গোল না হলেও আক্রমণ শানিয়েছে দু’দলই। দ্বিতীয়ার্ধ্বে শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন গুয়েরেরো, এবার অবদান রাখলেন সরাসরি গোল করে। গোলটি করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখান তিনি। গোল করার সময় তার বয়স ছিল ৩৪ বছর ৬ মাস, তারচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে গোল পাননি আর কোন দক্ষিণ আমেরিকান! ম্যাচ জিতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ যাত্রার সমাপ্তি ঘটে পেরুর, ৪ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সম্বল ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র।

ম্যাচসেরা : আন্দ্রে ক্যারিয়ো

***
ফ্রান্স ০-০ ডেনমার্ক

ফ্রান্স আগেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়াতে অতটা গুরুত্ববহ ছিল না ম্যাচটি। ডেনমার্কেরও ড্র করলেই চলতো। রক্ষণশীল মানসিকতায় দুই শিবিরের ম্যাড়মেড়ে এক ম্যাচের প্রদর্শনী দেখল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম। এবারে বিশ্বকাপ দেখল প্রথম গোলবিহীন ড্র। প্রথমার্ধে উভয় দলই বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে। ২৯ মিনিটে ড্যানিশ তারকা এরিকসেন সহজ সুযোগ মিস করেন। গোটা ম্যাচে ড্যানিশদের হাইলাইট হয়ে রইল সেটিই। দুই দলের কারোরই শরীরী ভাষায় ফুটে উঠেনি জয়ের বাসনা। ম্যাচশেষে ফ্রান্সের মাত্র চার এবং ডেনমার্কের একটি মাত্র অনটার্গেট শট বলে দেয় বিবর্ণতার সারমর্ম।

ম্যাচসেরা : এঙ্গোলো কান্তে (ফ্রান্স)

***
ক্রোয়েশিয়া               ২-১         আইসল্যান্ড
মিলান বাদেল ৫৩                  সিগার্ডসন (পে) ৭৬
পেরিসিচ ৯০

তাদের সামনেও সুযোগ ছিল পরের রাউন্ডে যাবার। প্রথমবার বিশ্বকাপে এসেই বাজিমাত করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় প্রায় দ্বিতীয় সারির ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজয়ে। তার আগে সমান্তরালে লড়ে গেছে আর্জেন্টিনাকে রুখে দেওয়া আইস ছেলেরা। প্রথমার্ধে বেশ গোছালো আর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তারা। ৪০ মিনিটে ফিনবোগাসন বল মারেন বাইরের জালে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্রোয়াট গোলরক্ষক কালিনিচ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকান গুনারসনের বাঁকানো বল। গোলহীনভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে এবার আগ্রাসী ভূমিকায় ক্রোয়েশিয়া। আগেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় পূর্ব ঘোষণা মতে দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায় তারা। আর্জেন্টিনা ম্যাচের মাত্র দুইজনকে (মদ্রিচ, পেরিসিচ) এদিন শুরুর একাদশে রাখেন কোচ। ৫৩ মিনিটে মিডফিল্ডার মিলানের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ‘জিততেই হবে’ এমন পরিস্থিতিতে আরো আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে শুরু করে আইসল্যান্ড। ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সিগার্ডসন সমতা ফেরালেও ৯০ মিনিটে পেরিসিচ গোল করলে থেমে যায় আইসল্যান্ডের স্বপ্নযাত্রা। তবে ম্যাচের অন্তিম সময় পর্যন্ত দাঁত কামড়ে লড়ে গেছে ‘স্ট্রাকামির ওক্কার’ ডাকনামের চমক জাগানিয়া টিম আইসল্যান্ড।

ম্যাচসেরা : মিলান বাদেল