বিশ্বে নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় ভারত সর্বপ্রথমে রয়েছে। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের এক সমীক্ষায় এমন তথ্য বেরিয়েছে। ওই তালিকায় পশ্চিমা বিশ্বের একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র স্থান পেয়েছে। হ্যাশট্যাগ মি-টু প্রচারণার কারণে দেশটিতে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির খবর সামনে আসার পর এবারই প্রথমবারের মত এই তালিকায় উঠে এসেছে নারী স্বাধীনতা ও সামাজিক নিরাপত্তার ধারক বাহক হিসেবে নিজেদেরকে প্রচারকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার প্রকাশিত নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় বরাবরের মত শীর্ষে রয়েছে ভারত। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন, নারী পাচার, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শ্রম ইত্যাদি কারণে তালিকার এক নম্বরে রয়েছে দেশটি। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও সিরিয়া। শীর্ষ দশে থাকা দেশগুলো হচ্ছে–
১. ভারত
২. আফগানিস্তান
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৪. সিরিয়া
৫. সোমালিয়া
৬. সৌদি আরব
৭. পাকিস্তান
৮. ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো
৯. ইয়েমেন
১০. নাইজেরিয়া
নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা, হয়রানি, পারিবারিক সহিংসতা ও মানসিক হয়রানি ইত্যাদি ছয়টি বিষয় বিবেচনা করে এটি তৈরি করেছে ‘দ্য থমাস রয়টার্স ফাউন্ডেশন’ নামের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি। নারী ইস্যুতে কাজ করছেন এমন সাড়ে ৫শ বিশেষজ্ঞের মতামতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের এই বিপজ্জনক দেশের তালিকা।
ভারতীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে এ নিয়ে কথা বলতে নারাজি প্রকাশ করা হয়েছে।
নারীদের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকায় এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যে দেশগুলোর নাম রয়েছে এর আগের তালিকাতেও এদের নাম ছিল। তবে এবার এদের সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হল যুক্তরাষ্ট্র। অবাধে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং এসব ঘটনায় নির্যাতিত নারীদের বিচার পাওয়ার সুযোগ সীমিত হওয়ার কারণেই দেশটিকে আর নিরাপদ ভাবছেন না নারী বিষেশজ্ঞরা।
গত বছর হ্যাশট্যাগ মি-টু প্রচারণার কারণে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে হাজার হাজার মার্কিন নারী তাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ্যে তুলে ধরেছিলেন। যার ফলে সামনে এসেছিল হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক ও পরিচালক হার্ভে উইনস্টেইনসহ আরো অনেক নামকরা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো।
এর আগে একই প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেবারের তালিকায় নারীদের নিরাপত্তাহীনতার দিক দিয়ে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে ছিল যথাক্রমে আফগানিস্তান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, পাকিস্তান, ভারত ও সোমালিয়া।