কাশ্মিরে আরো সাড়ে ২২ হাজার জওয়ান মোতায়েন করবে ভারত

কাশ্মিরে আরো সাড়ে ২২ হাজার জওয়ান মোতায়েন করবে ভারত

স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরে রাজনীতি যেন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সন্দীপ কুমার বায়াপু’র মন্তব্য সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। জাতিসংঘের সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি মালিহা লোধি অভিযোগ তোলেন, ভারত কাশ্মিরের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অধিকার খর্ব করে গণহত্যা চালাচ্ছে।

গণহত্যার অভিযোগের জবাব না দিয়ে উল্টো পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে বসেন সন্দীপ কুমার; বলেন, কাশ্মিরের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে না পাকিস্তানকে। কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর জন্য বাড়তি আলঙ্কারিক শব্দ ব্যবহার করে পাকিস্তান অধিকার দেখাতে পারে না। পাকিস্তান জাতিসংঘের সভায় কাশ্মির প্রসঙ্গ নিয়ে এসে সভার সময় নষ্ট করছে মাত্র। কারণ পাকিস্তানের কাছ থেকে কাশ্মিরের বিষয়ে কোনও কথা শুনতে চায় না ভারত। কারণ কাশ্মির যে ভারতেরই অংশ এই সত্যিটাকে কোনও যুক্তি দিয়েই খারিজ করতে পারবে না পাকিস্তান।

একদিকে পাকিস্তানের অভিযোগের সঠিক জবাব না দিয়ে কাশ্মির প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে, অপরদিকে অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরে বিরাজ করছে উত্তেজনা। দক্ষিণ কাশ্মিরে পুলিশি অভিযান হয়েছে কয়েকদিন আগেই। আবার ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ দাবি করছে, অমরনাথের পথে অপেক্ষা করছে ২০ জন জঙ্গি। তাদের দাবি এদের বেশির ভাগই লস্কর সদস্য এবং পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চল থেকে এরা জম্মু ও কাশ্মির উপত্যাকায় তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন অভিযোগে সাজানো হচ্ছে কাশ্মিরীদের হত্যার নতুন ছক। কেননা, মেহবুবা মুফতি পদত্যাগের পর রাজ্যটিতে রাজ্যপাল শাসন জারি রয়েছে, যার ফলে সেনা অভিযানের বা হত্যাকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে না ভারতীয় বাহিনীর। ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতও এর আগে সেনা অভিযান চলার ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন।

নতুন অভিযানের প্রস্তুতিস্বরূপ এবং অমরনাথ যাত্রাকে উপলক্ষ করে গঠন করা হয়েছে বাইক স্কোয়াড। কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে; যার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ, সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনী। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত বাহিনী অতিরিক্ত ২২ হাজার ৫০০ আধা সামরিক জওয়ান মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। অমরনাথ যাত্রার সময়টাতে কাশ্মিরে আধা সামরিক জওয়ানের সংখ্যা হবে ৪০ হাজার।

এতে করে বলা যায়, ‘অমরনাথ যাত্রা’কে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলার সুযোগ ব্যবহার করে কাশ্মিরীদের ওপর দমন-নিপীড়নের ছক কসবে ভারত।