এ বিজয় গণতন্ত্র ও ৮ কোটি তুর্কি জনতার: এরদোগান

এ বিজয় গণতন্ত্র ও ৮ কোটি তুর্কি জনতার: এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়ে একে পার্টির নেতা রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়, এ বিজয় আট কোটি তুর্কি জনতার বিজয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বকে গণতন্ত্রের একটি শিক্ষা দিল তুরস্ক।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে রাজধানী আঙ্কারায় নিজের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির প্রধান কার্যালয়ের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে তুরস্ক দুনিয়াকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে। এ নির্বাচনে তুরস্কের জনগণ, এ অঞ্চল এবং দুনিয়ার সব নিপীড়িত মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে এরদোয়ান ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইন্স পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট।

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে তারা জানিয়েছে, ফলাফল যাই হোক না কেন তারা গণতন্ত্রের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। খবর বিবিসি ও আনাদলুর।

নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই রোববার রাতে এরদোগান বলেন, বেসরকারি ফলাফলের ভিত্তিতে আমি এখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তুরস্কের জনগণ আমাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আমি আশা করি, এই নির্বাচনের উপর ছায়া ফেলে কেউ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারবে না।

বিগত কয়েক বছরে দেশটিতে নির্বাচনে এমন তীব্র লড়াই দেখা যায়নি। আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এরদোগান আরও নতুন শক্তি অর্জন করবেন। তুরস্কের সংবিধানে তিনি যে পরিবর্তন এনেছেন, তাতে প্রেসিডেন্টকে নতুন এবং ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

৬৪ বছর বয়সী এরদোগান রাজধানী আঙ্কারায় তার দলের সদর দপ্তরে দেয়া বক্তব্যে বলেন, এই নির্বাচনে আমার দেশের ৮ কোটি ১০ লাখ মানুষের প্রত্যেকে জয়ী হয়েছেন।

এরদোগানের বিজয়ে পাকিস্তান, কাতার, ফিলিস্তিন, সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, আজারবাইজান ও আলবেনিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।