এরদোগানের স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু

এরদোগানের স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু

তুরস্কের যে নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান তা প্রায় ১৮ মাস আগে এগিয়ে নিয়ে আসেন। যা গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। এটি ছিল একই সাথে প্রেসিডেন্ট আর পার্লামেন্টারি নির্বাচন, যাতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন ৬ জন, আর পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল ৮টি দল। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি, যাদের ৮৭ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।

৫২.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে রিসেপ তায়েপ এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, আর মোট ৩৪৩ আসন পেয়ে পিপলস্ জোট (একেপি পার্টি + এমএইচপি পার্টি) জয়ী হয়েছে। বলাই বাহুল্য, আগের চেয়ে এবার শক্ত এক সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন এরদোগান।

১.
এরদোগানের রাজনৈতিক দল একেপি কিন্তু ‘ইসলামপন্থি’ দল নয়, বরং তাদের দলের আইডিওলজি হচ্ছে সোশ্যাল কনজারভেটিজম। তুরস্কে ইসলামপন্থি যেই প্রধান দলটি আছে তার নাম ফেলিসিটি পার্টি বা সাদেত পার্টি। এই এসপি আবার কোয়ালিশান করছে কেমালিস্ট পার্টি সিএইচপি’র সাথে। উল্লেখ্য, কেমালিজম এক সময় তুরস্কের বুক থেকে ইসলাম মুছে দেয়ার প্রয়াস করেছিল। হাজার হাজার ধর্মপরায়ণ মুসলমানকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল। এমনকি এক সময় তুরস্কে আজান দেয়াও নিষিদ্ধ ছিল। সরকারি কোন কাজে হিজাবিদের চাকুরি নিষিদ্ধ ছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও হিজাব নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেই তুরস্ক আর আজকের তুরস্কের মাঝে অনেক ফারাক। এখন কেমালিস্ট বা সেক্যুলারিস্ট দল সিএইচপি’র নেতার মা আর বোনও হিজাব পরেন। আর দেখা গেল তারা হিজাব পরেই নির্বাচনের র‌্যালিতে যোগদান করেছেন।

পার্লামেন্টে মোট ৩৪৩ সিট পেয়ে মেজরিটি পেয়েছে পিপলস এলায়েন্স (একেপি+ এমএইচপি)। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট আর পার্লামেন্ট দুটোতেই মেজোরিটি একেপির। যদিও বলা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে এক সাথে প্রচুর ক্ষমতা চলে আসল এরদোগানের হাতে। কিন্তু তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী সরকারের এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ আর জুডিশিয়ারি ব্রাঞ্চ সম্পূর্ণ আলাদা। আর পার্লামেন্ট দু’কক্ষ বিশিষ্ট যার সমাবেশে আইন প্রণয়নের, সংশোধন এবং বাতিল করার ক্ষমতা আছে এবং রাষ্ট্রপতির ভেটোর ওপরও তারা আইন পাস করতে পারে। সেদিক থেকে বলা যায় এখানে একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেম আছে। কিছুদিন আগে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হলেও বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের পৃথক অবস্থান বজায় রয়েছে। আর আগের এরদোগানের আমলে তুরস্কের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক দলের অন্ধ গোলামি করেছে এমন কোন অভিযোগও নজরে আসেনি। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বলা যায়, এখানে এককভাবে সরকার প্রধানের স্বৈরাচারী হয়ে উঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

২.
এবার দেখি তুরস্কের এবারের নির্বাচন কেমন নিরপেক্ষ আর স্বাধীন ছিল–

নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দলের র‌্যালিতে, বিশেষত কেমালিস্ট দল সিএইচপি’র র‌্যালিতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল, তাতে প্রমাণ হয় নির্বাচনে বিরোধী দল আর তাদের সাপোর্টারেরা ভালোই উন্মুক্ত ক্যাম্পেইন করতে পেরেছেন। বিরোধীদলগুলোকে ক্যাম্পেইন বা সমাগম করতে না দেয়ার কোন সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচনের যে বাজে রীতি আামদের দেশে আমরা দেখি তার কোন লক্ষণ তুরস্কের রাজনৈতিক পরিসরে দেখা যায়নি।

নির্বাচনে যখন কারচুপি করার প্ল্যান করা হয় তখন ক্ষমতাসীন দল ভোটের দিন পোলিং বুথে বিরোধীদলের এজেন্টদের প্রবেশাধিকার রোধ করে। কিন্তু তুরস্কের নির্বাচনে প্রতিটি বুথে সকল দলের পোলিং এজেন্ট একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উপস্থিত ছিল, যা ফেয়ার নির্বাচনের আরেকটি মাপকাঠি। নির্বাচনের দিন প্রতিটি পোলিং কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী সবগুলো দলের পোলিং এজেন্টরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। উপস্থিত ছিল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকগণ। নির্বাচনে কোনরূপ কারচুপি বা ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার কোন সংবাদ আসেনি। এমনকি কোনরূপ মারামারি আর গোলাগুলির সংবাদ পর্যন্ত আসেনি।

বাংলাদেশের অনেকেকেই তুরস্কের নির্বাচনের ফলাফলে প্রচণ্ড অখুশি হতে দেখা গেছে। তুরস্কের জনগণের রায় মেনে নিতে তাদের নানান তালবাহানা লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এরদোগান ইসলামপন্থি, যদিও তিনি তা নন। কেউ বলছেন, এরদোগান স্বৈরাচার। কিন্তু কোন দেশের মানুষ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের কোন নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করে বারবার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসায়, তাতে প্রমাণ হয় আসলেই এই নেতাকে বহির্বিশ্বে যতটা স্বৈরাচার হিসেবে তুলে ধরা হয়, তিনি ততটা নন

 

যখন সত্যিকারের কোন স্বৈরাচার নির্বাচনের ঘোষণা দেয়, তখন সে মাঠ থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে ফেলে, ফলে একক প্রার্থী সব ভোট নিজ ঘরে তুলে আনে। যা করেছিল মিসরের সিসি আর সিরিয়ার আসাদ। তাই জেনারেল সিসি মিসরের নির্বাচনে পেয়েছিলেন ৯৭ শতাংশ ভোট আর সিরিয়ার নির্বাচনে আসাদ পেয়েছিলেন ৮৯ শতাংশ ভোট। কিন্তু এরদোগান পেয়েছেন মোটে ৫২.৭ শতাংশ। যেখানে অন্যান্য দলগুলো ঘরে তুলেছে ৪৭.৩ শতাংশ ভোট। এখানে প্রধান দুই জোটের নির্বাচনী ফলাফল খুব কাছাকাছি। এতেও প্রমাণ হয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে।

যখন জনগণ বোঝে যে নির্বাচনে কারচুপি হবে, ফেয়ার হবে না, তাদের ভোট কোন পার্থক্য তৈরি করবে না, তখন জনগণ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, খুব কম সংখ্যক জনগণ ভোটে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহাসিকভাবে তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ৮৪-৮৭ শতাংশ অংশগ্রহণ করেছে, আর গতকালের নির্বাচনেও তাদের অংশগ্রহণ ছিল ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ, জনগণ বরাবরের মতই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ তারা আশা হারায়নি।

তাই কোনভাবেই তুরস্কের গতকালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। এটা অনেক দিক থেকেই ছিল অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচন।

এর পরেও বাংলাদেশের অনেকেকেই তুরস্কের নির্বাচনের ফলাফলে প্রচণ্ড অখুশি হতে দেখা গেছে। তুরস্কের জনগণের রায় মেনে নিতে তাদের নানান তালবাহানা লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এরদোগান ইসলামপন্থি, যদিও তিনি তা নন। কেউ বলছেন, এরদোগান স্বৈরাচার। কিন্তু কোন দেশের মানুষ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের কোন নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করে বারবার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসায়, তাতে প্রমাণ হয় আসলেই এই নেতাকে বহির্বিশ্বে যতটা স্বৈরাচার হিসেবে তুলে ধরা হয়, তিনি ততটা নন। দেশের মানুষের জন্য তিনি অনেক ভাল কিছু করেন আর তাতেই তার এমন পপুলারিটি। জাতির প্রতি তার দেওয়া অঙ্গীকার সেদেশের জনগণ বিশ্বাস করেন। অথবা ঐ দেশের স্থানীয় হিসেব এমন যে বাইরের দিক থেকে অনুমান করে অনেক কথা বলা হলেও প্রকৃত বিবেচনায় সেই সব অনুমান কোন কাজে আসে না। অন্যদিকে ন্যাটো জোটভুক্ত এদেশটির জনপ্রিয় নেতা এরদোগানকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বা সুলতান সুলেমান বলে প্রচার করে আত্মতুষ্টি পেয়ে থাকেন কিছু লোক। ফলে একদিকে যেমন আছে অতিপ্রশংসা অন্যদিকে আছে অযৌক্তিক সমালোচনার পাহাড়। এর বাইরে গিয়ে একজন দেশপ্রেমিক সৎ ও চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত এরদোগানকে মূল্যায়নের চেষ্টার ব্যাপক ঘাটতি আছে।

এরদোগানের সামনে দু’টো পথই খোলা। তিনি আগামী পাঁচ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের নিপীড়িত, নির্যাতিত, অত্যাচারিত সকল মানুষের পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে সকল অপশক্তিকে কঠোরভাবে প্রতিহত করে মুসলিম বিশ্বে নিজের নীতিবান আচরণের ইমেজ তৈরি করতে পারেন আবার দেশে আইনের অপব্যবহার করে স্বৈরশাসকও হয়ে উঠতে পারেন

 

৩.
আরও একটি কথা বলতে হবে, এসব সমালোচকদের বেশির ভাগই আবার নানান মাত্রার ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত। এরা গণতন্ত্র পছন্দ করে ঠিকই, কিন্তু তা কেবল নিজেদের ঘরানার মানুষের জন্য এবং মুসলিম কোন রাষ্ট্রে ইসলামিক মনভাবাপন্ন বা ইসলামপন্থি কোন দল যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই ক্ষমতায় বসে তবে তাতে তারা প্রচণ্ড নাখোশ হয়ে যান। তখন আর সেটাকে গণতন্ত্র মানতে পারেন না। ইসলামি মনোভাব নিয়েও অনেক দেশে নিজেদের উপযোগী করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু তাদের পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাপকাঠিতে ভাল চোখে দেখা হয়নি। যেমন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের মুরসি ক্ষমতায় বসলে তারা প্রচণ্ড সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। যেমন এখন হচ্ছে এরদোগানের বিরুদ্ধে। আরও মজার ব্যাপার হল, এরা পুতিনের মতন অটোক্র্যাটের ভক্ত হলেও এরদোগানের সমালোচক। এখানে তারা দ্বিমুখী আচরণ করছেন। সমালোচনা যদি করতেই হয় তবে বলতে হবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে সেই উদারনীতি, সবার সমান সুযোগ, ন্যায় বিচার এইসব নীতি কথা বাস্তবে গণতন্ত্র ধারণ করতে অক্ষম। এমনকি পশ্চিমা মূল্যবোধও ধারণ করতে অক্ষম। ফলে গণতান্ত্রিক বয়ানের সূত্র ধরে একনায়কতন্ত্র বা একদলীয়তন্ত্র অনেক দেশেই কায়েম হয়, হচ্ছে। আর অন্যদিকে ক্ষমতার নিজস্ব কিছু আচরণগত দিক আছে। শত্রু-মিত্র বিভাজন আছে। কাজেই একজন নেতা যখন ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, একদল খুশি হবেন অন্যদল অখুশি হবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বাংলাদেশের মতো নির্মূলের রাজনীতি করেন তা হবে আত্মঘাতী। জনগণ এক সময় না এক সময় প্রতিরোধ করতে শুরু করবেন এবং ক্ষমতা ও জীবন দু’টাই হারাতে হতে পারে তখন। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বদলে নিজের সুবিধার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ একটি সন্ত্রাসী তৎপরতা। সেটা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি করলে তখন আমরা বলি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

তবে এটা সত্য যে তুরস্কে এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা নেই। তাদের উপর প্রশাসনের দৃষ্টি খুব কঢ়া। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যে কেবল এরদোয়ান খর্ব করেছেন তা নয়, ঐতিহাসিকভাবে কামাল আতাতুর্ক থেকে শুরু করে এরদোয়ান পর্যন্ত, ১৯২০ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ- বিভিন্ন মিলিটারি ক্যু এর সময় তুরস্কের সকল সরকারই দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে নজরবন্দি করে সংবাদ পত্র প্রকাশ বাধাগ্রস্থ করেছে। অনেক   সাংবাদিকদের কারাবন্দী করেছে। অনেকের কাছে এটা গণতন্ত্রের অঙ্গিকার ভঙ্গের অন্যতম কারন হিসাবে দাঁড়িয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে, এরদোগান তার আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে অন্যান্য মজলুম মুসলিমদের পাশে যেমন শক্ত ভাবে দাঁড়িয়েছেন সেভাবে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোসহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রও দাঁড়ায়নি। তুরস্কের বাইরে সিরিয়ার শরণার্থী, রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিনি, এমনকি কাতারিদের মাঝেও এরদোগান প্রচণ্ড জনপ্রিয়। এরদোগান কেবল মুখের কথাতেই নয়, বরং কাজেও প্রমাণ করেছেন তিনি মজলুমদের পাশে ছিলেন এবং আছেন। আর তার কিছু কিছু প্রমাণ এসব মানুষ পেয়েছেন। তিনি খুব ধৈর্য ও লম্বা মেয়াদের কৌশল নিয়ে ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারেন। ন্যায় বিচার ও আইনের স্বাধীন শাসন বহাল রেখে তিনি আগের চেয়ে কঠোর হাতে দেশ পরিচালনা করলেও সেটা স্বৈরাচারী শাসন আমল হয়ে ওঠার কোন সম্ভাবনা নাই।

গতকাল নির্বাচনোত্তর ভাষণে এরদোগান বলেছেন, “এই নির্বাচনে জিতেছে এই অঞ্চলের মজলুমেরা।”

এরদোগানের সামনে দু’টো পথই খোলা। তিনি আগামী পাঁচ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের নিপীড়িত, নির্যাতিত, অত্যাচারিত সকল মানুষের পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে সকল অপশক্তিকে কঠোরভাবে প্রতিহত করে মুসলিম বিশ্বে নিজের নীতিবান আচরণের ইমেজ তৈরি করতে পারেন আবার দেশে আইনের অপব্যবহার করে স্বৈরশাসকও হয়ে উঠতে পারেন। তবে অতীত ইতিহাস দেখলে মনে হয় তিনি মহান নেতা হিসেবেই নিজেকে সম্মানিত করতে চাইবেন দেশে-বিদেশে।