• ইংল্যান্ড-পানামা
বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে আসা পানামা প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধ্ব পর্যন্ত বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে খেলেছে বেশ ভালমতোই। এরপরই খেই হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ হারে কনকাকাফ অঞ্চলের দলটি। আর অঘটনের শিকার হতে হতেও হ্যারি কেইনের শেষ মূহুর্তের গোলে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। আজ তাই ‘জি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই পরের রাউন্ডে উঠে যাবে থ্রি লায়ন্সরা, টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই পানামার। তবে, ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট ইংল্যান্ড সেটি মেনে নিয়েছেন পানামা বস হার্নান্দারো গোমেজ। “ইংল্যান্ড ম্যাচটি আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তারা গ্রুপের সেরা দল। আমরা হয়তো বড় ব্যবধানে হারতে চলেছি।”
তারপরও সতর্ক ইংলিশ বস গ্যারেথ সাউথগেট– “এবার সব বড় দলকেই জয়ের জন্য ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়াও পরীক্ষা নিয়েছে। কোনমতেই পানামাকে হালকাভাবে নিচ্ছি না, ম্যাচে জিতেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করতে চাই।”
বিশ্বকাপে এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। চোটমুক্ত একাদশ নিয়ে নিঝনি নভোগোরাদ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬ টায় মাঠে নামবে তারা।
• জাপান-সেনেগাল
এর আগে তিন দেখায় জাপানকে দুইবার হারিয়েছে সেনেগাল, অন্যটি ড্র। বিশ্বকাপে আবার আফ্রিকান দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ খেলা জাপানের জয়ও দুইটি। জটিল সমীকরণ, এবার বিশ্বকাপটাই এমন! কে ভাবতে পেরেছিল ‘এইচ’ গ্রুপে কলম্বিয়া, পোল্যান্ডকে টপকে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করার মিশনে মাঠে নামবে জাপান, সেনেগাল! অথচ, এটিই সত্যি। আজ জিতলে এশিয়া আফ্রিকার দুই পরাশক্তির একজন চলে যাবে পরের পর্বে। প্রথম ম্যাচে আন্ডারডগ হয়েও জিতে যাওয়ায় আজ কিছুটা নির্ভার থাকবে দুটো দলই। সেনেগালের মূল শক্তি তারকা উইঙ্গার সাদিও মানের ফর্ম। কিন্তু জাপান কোচ আকিরা নিশিনোর মতে, “মানে দুর্দান্ত তবে অপ্রতিরোধ্য নয়। তাকে আটকানো অবশ্যই সম্ভব। আমরা আমাদের নিয়ে ভাবছি। আজকের ম্যাচ নিয়েই চিন্তাভাবনা করছি আমরা।”
সেনেগাল বস আলিও সিসে কী বলছেন? ২০০২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা লায়ন্স অব তেরঙ্গাদের অধিনায়ক কোচ হিসেবেও প্রথম ম্যাচে পেয়েছেন সাফল্য। বললেন, “নিজেদের প্রতি আমরা আস্থাশীল। পোল্যান্ডকে হারিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি। আমরা ভালকিছু করতে চাই, ২০০২ এর মতো।” ফিট দল নিয়ে ইয়াকতেরিনবার্গ অ্যারেনায় রাত ৯ টায় মাঠে নামবে দুই ‘ডার্ক হর্স’।
• পোল্যান্ড-কলম্বিয়া
এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেটি ২০০৬ সালে, প্রীতি ম্যাচে। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় একে অপরের প্রথম দেখা হচ্ছে আজ রাতে। যেটি পোল্যান্ড কলম্বিয়া উভয় দলের জন্য অলিখিত ফাইনাল! হারলেই মোটামুটি বিদায় নিশ্চিত। যার যার প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে দুটো টিমই। জাপানের কাছে পাওয়া অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে ভাটা পড়েছে কলম্বিয়ার আত্নবিশ্বাসে। অপকট স্বীকারোক্তি কোচ পেকারম্যানের কন্ঠে– “বিশ্বকাপের মতো জায়গায় প্রথম ম্যাচ হেরে ঘুরে দাঁড়ানোটা বেশ কঠিন। তবে আমরা আগের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। জয়ের বিশ্বাস ফিরিয়ে জিততে হবে আমাদের।”
পোলিশদেরও অভিন্ন অবস্থা। সেনেগালের কাছে হারটা তাদের জন্যও অনাকাঙ্খিত। পোল্যান্ড কোচ অ্যাডাম নাওয়ালকা বলেন, “প্রথম ম্যাচে হারার পেছনে নিজেদেরও দোষ আছে। ছেলেরা জয়ের জন্য জেদি হয়ে আছে। জেদ ধরে রেখে আজ জিততে চাই। আজ জিততেই হবে।”
জাপান ম্যাচে লালকার্ড দেখায় এ ম্যাচে থাকছেন না কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ। এদিকে সংশয় আছে পোলিশ ডিফেন্ডার কামিল গ্লিকের খেলা নিয়েও। ইঞ্জুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেও কাটেনি সংশয়। লড়াইয়ের ভেতর আজ লড়াই হবে লেভালডস্কি বনাম হামেস-ফ্যালকাওয়ের।
রাত ১২ টায় কাজান অ্যারেনায় বাঁশি বাজবে ‘এইচ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের।