চ্যাম্প’স আর ব্যাক বি লাইক চ্যাম্প

চ্যাম্প’স আর ব্যাক বি লাইক চ্যাম্প

জার্মানি ২       –          ১ সুইডেন
রয়েস ৪৮                টইভোনেন ৩২
ক্রুস ৯০+৫

জার্মানি একাদশ (৪-২-৩-১)

ম্যানুয়েল নয়্যার, জশুয়া কিমিচ, রুডিগার, বোয়াটেং, জোনাস হেক্টর, সেবাস্টিয়ান রুডি, টনি ক্রুস, থমাস মুলার, ড্রাক্সলার, মার্কো রয়েস, টিমো ওয়ার্নার

সাব : সেবাস্টিয়ান রুডি-ইকার গুন্ডোগান, ড্রাক্সলার-মারিও গোমেজ, জোনাস হেক্টর- জুলিয়ান ব্র্যান্ড

সুইডেন একাদশ (৪-৪-২)

রবিন ওলসেন, মিখাইল লুস্টিগ, লিন্ডেলফ, গ্রাঙ্কভিস্ট, অগাস্টিনসন, সেবাস্টিয়ান লারসন, আলবিন একদাল, ক্লায়েসন, ফোর্সবার্গ, মার্কাস বার্গ, ওলা টইভোনেন

সাব : ক্লায়েসন-জিমি দারমাজ, ওলা টইভোনেন-গুয়েদেত্তি, মার্কাস বার্গ- ইসাক থেলিন

প্রথমার্ধ্ব

হারলেই বাদ, এমন বিদঘুটে সমীকরণ সামনে রেখেই সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। স্বভাবসুলভ আক্রমণে শুরুটা দারুণ করেছে জার্মানরা। একাদশে প্রথমবার মার্কো রয়েস। নবম মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে তার দেয়া ক্রসে ওয়ার্নার মাথা ছোঁয়ালেও অল্পের জন্য গোল হয়নি। ২৪ মিনিটে বিপক্ষের বুটের অকস্মাৎ আঘাতে নাক ফেটে যায় মিডফিল্ডার রুডির। তার কিছুক্ষণ পরই যে ব্যথার সঙ্গে গোল খাওয়ার কষ্ট ভাগ বসাবে তিনি নিশ্চয়ই ভাবেননি! টনি ক্রুসের ভুল পাসে বল পায় সুইডেন। নয়্যারের মাথার উপর দিয়ে বিচক্ষণ চিপে জালে বল পাঠান সুইডিশ ফরোয়ার্ড টইভোনেন। ক্রুস- রুডিগার মিলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল, পেরে উঠেনি তার ক্ষিপ্রতার সাথে। ৩২ মিনিটে গোল করে যেন আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে সুইডেন। এরপর বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে দু’দলই, দুই গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত উভয় শিবির। ৭০ শতাংশ বল পজিশন নিয়েও শূন্য একে পিছিয়েই বিরতিতে যায় জোয়াকিম লো’র শিষ্যরা।

দ্বিতীয়ার্ধ্ব

এখনই পত্রপাঠ বিদায় নয়, এমন মানসিকতা নিয়ে বিরতির পর মাঠে চেনা জার্মানি। তিন মিনিটেই ফল! ওয়ার্নারের অ্যাসিস্টে বিশ্বমঞ্চে রয়েসের প্রথম গোল। ৫০ মিনিটে মুলারের হেড চলে যায় বারের সামান্য পাশ দিয়ে। জার্মানরা একের পর আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখে সুইডিশ রক্ষণকে। আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতেই কোচ মাঠে নামান অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মারিও গোমেজকে। গোটা প্রথমার্ধ্বে যেখানে জার্মানি গোলে শট নিয়েছে মোটে চারটি, পরের হাফে বিশমিনিটেই তা হয়ে যায় এগারোটি! অন্তত তিনটিতে গোল হতে পারত। কিমিচের বাড়ানো বলে মার্কো রয়েস পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ, সুইডিশ কিপার ওলসেনের একাধিক সেইভ ব্যবধান বাড়তে দেয়নি। ৮০ মিনিটে সুইডিশ ফরোয়ার্ড বার্গকে ফাউল করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, অতঃপর লালা কার্ড দেখে ডিফেন্ডার জেরোম বোয়াটেং মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় জার্মানি। ফ্রিকিক থেকে করা আক্রমণে মাথা ছোঁয়ান সুইডেন ক্যাপ্টেন গ্রাঙ্কভিস্ট, নিয়ন্ত্রণ হারাতে হারাতেও বল বিপদমুক্ত করেন ম্যানশাফট দলপতি ম্যানুয়েল নয়্যার। ৮৭ মিনিটে সম্ভবত ম্যাচের সেরা সেইভটি করেন সুইডেন গোলরক্ষক! বামপ্রান্ত দিয়ে করা ক্রুসের ক্রসে জোরালো হেড গোমেজের, দুরন্ত  ক্ষিপ্রতায় বাঁচান ওলসেন। ৯১ মিনিটে জুলিয়ান ব্র্যান্ডের বুলেট শট সুইডিশ বারে লাগলে ধাক্কা খায় জয়ের স্বপ্নও।

কিন্তু, দলটি যে জার্মানি! হারার আগে হারতে নারাজ। ৯৫ মিনিটে ডি বক্সের আধহাত বাইরে ফ্রিকিক পায় জার্মানি। মার্কো রয়েসের সাথে ওয়ান টু ওয়ানে চোখধাঁধানো শটে গোল করে কেবল প্রথম গোলের প্রায়শ্চিত্ত করেননি, টিকিয়ে রেখেছেন ডুবতে বসা আশার তরী। আর পুরো ম্যাচে সমানতালে লড়েও কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে পরাজিত হয়ে বিস্ময়ের দাবানলে পুড়ছে সুইডেন।

ম্যাচসেরা : মার্কো রয়েস