• বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া
এর আগে দুইদল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে তিনবার। একটি করে জয়, বাকি ম্যাচটি ড্র। একমাত্র ড্র আবার বিশ্বকাপেই। ২০০২ এ সেবার গ্রুপপর্বে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া ম্যাচ। এবারের আসরে বিশেষজ্ঞের বাজির ঘোড়া বেলজিয়াম। প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বুঝিয়েছে কেন তাদের নিয়ে মাতামাতি। ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় খেলায় তিউনিসিয়ার সঙ্গে মাঠে নামবে তারা। প্রথম ম্যাচে শেষ মূহুর্তে গোল খেয়ে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বসা তিউনিসীয়দের আজ বাঁচা মরার লড়াই। কোচ নাবিল মালুল বললেন, “আমাদের জিততে হবে। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলতে হবে। ওরা ভাল দল, তবে আমরাও পারি।”
প্রতিপক্ষকের প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে বেলজিয়ামের। কিন্তু রেড ডেভিল বস রবার্তো মার্তিনেজের ভাষ্যে ফেভারিট তার দলই। “আমরা আশাবাদী। পরের রাউন্ড খেলতে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। প্রথম ম্যাচের চেয়ে উন্নত ফুটবল খেলতে হবে।”
অন্যদিকে তিউনিসিয়া গোলরক্ষক মুয়েজ হাসানের বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ড ম্যাচে পাওয়া আঘাতে। ইঞ্জুরিতে থাকায় বেলজিয়ামের হয়ে আজও মাঠে নামতে পারছেন না ভিনসেন্স কম্পানি।
মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬ টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
• মেক্সিকো-দক্ষিণ কোরিয়া
জার্মানিকে হারিয়ে স্বপ্নীল সূচনা করেছে কনকাকাফের দেশ মেক্সিকো। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নামবে রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। জার্মানির সাথে জিতলেও পা যে মাটিতেই রাখছে এল ট্রিকোলোরা তা স্পষ্ট কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও’র কথায়– “আগের ম্যাচ জিতে সবার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কিন্তু, তা মাত্রাতিরিক্ত নয়। ফুটবলে যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটতে পারে। তারাও জয়ের জন্য খেলবে। আমরা জিততে চাই এবং পরের রাউন্ডে যেতে চাই।”
এর আগে দু’দল একবারই লড়েছিল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল এশিয়ান টাইগার্স দক্ষিণ কোরিয়া। এবার আরেকটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নামার আগে প্রথম খেলায় হেরে ব্যাকফুটে রয়েছে কোরিয়া। অবশ্য কোচ শিন তায়ি-ইয়ং স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর। “পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে নয়। এমন অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে জানি। আশা করি ভালো খেলে জয় তুলে নিতে পারব।”
ইঞ্জুরিমুক্ত একাদশ নিয়ে ‘এফ’ গ্রপে এগিয়ে যাবার লড়াইয়ে রোস্তভ অ্যারেনায় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়া।
• জার্মানি-সুইডেন
‘পরাজয়ে ডরে না বীর’, জার্মানির জন্য এই প্রবাদ বাক্যটিই আজ হতে পারে অনুপ্রেরণা। প্রতিপক্ষ সুইডেনের কাছে সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে হেরেছিল দি ডাই ম্যানশ্যাফটস। আর শেষ ১১ সাক্ষাতে ৬ জয়, ৫ ড্র। জার্মান একাদশে থাকছেন না ডিফেন্স প্রহরী ম্যাট হুমেলস, মেক্সিকোর সাথে প্রথম ম্যাচে আহত হন তিনি। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে হেরে গোটা জার্মান দলটাই আহত! চোখ রাঙাছে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের আশঙ্কা। তবে, এখনই বিমানে উঠতে চাচ্ছেন না জার্মান মিডফিল্ডার সামি খেদিরা। “আমরা এখনই দেশে ফিরতে চাই না। সুইডেনের বিপক্ষে হারলে হয়ত এমনটি হবে। আমরা ১৬ জুলাইয়ের আগে বিমানে উঠতে চাচ্ছি না।”
ওদিকে ইঞ্জুরিমুক্ত একাদশ নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সুইডিশ কোচ জেন অ্যান্ডারসন– “আমাদের সামনে ভাল সুযোগ জার্মানিকে বিদায় করার। করতে পারলে তা দারুণ হবে। আমরাও পরের রাউন্ডে উঠতে পারব। হারলেই যাত্রার সমাপ্তি।
ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের পর চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের আসরেই গ্রুপপর্বে বাদ পড়ার লজ্জা এড়াতে ‘এফ’ গ্রুপে রাত ১২টায় মাঠে নামবে জার্মানি, সোচির ফিস্ট স্টেডিয়ামে।