কৌতিনহো-নেইমারের গোলে নক-আউটের পথে ব্রাজিল

কৌতিনহো-নেইমারের গোলে নক-আউটের পথে ব্রাজিল

ব্রাজিল     ২-০   কোস্টারিকা
কৌতিনহো ৯০+১’
নেইমার ৯০+৭’

• কোস্টারিকার বিপক্ষে এর আগের দশ ম্যাচের নয়টিই জিতেছে ব্রাজিল। সর্বশেষ পরাজয় ১৯৬০ সালে
• এ ম্যাচের আগে সর্বশেষ ৩১ শ্যুটে মাত্র একটি গোল করতে পেরেছে কোস্টারিকা
• বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বশেষ তিন ম্যাচে জয় পায়নি ব্রাজিল

কৌতিনহো এবং নেইমারের জোড়া গোলে কোস্টারিকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে নক-আউট এ এক পা দিয়ে রাখল ব্রাজিল। কোস্টারিকার দূর্ভেদ্য রক্ষণ ভাঙা যখন অসম্ভবপ্রায় বলে মনে হচ্ছিল তখনই আগের ম্যাচের স্কোরার কৌতিনহো গোল করে এগিয়ে নেন ব্রাজিলকে। আর ম্যাচটি শেষ হয় নেইমারের গোলে। সন্দেহ নেই, অঘটনের এই বিশ্বকাপে ২-০ গোলের এই জয়টি বুক থেকে পাথর সরিয়ে দেবে তিতের।

লাইন আপ

ব্রাজিল (৪-৩-৩)
এলিসন, ফ্যাগনার, সিলভা, মিরান্ডা, মার্সেলো, পৌলিনহো, কাসেমিরো, কৌতিনহো, উইলিয়ান, জেসুস, নেইমার

সাব : উইলিয়ান-ডগলাস কস্তা, পৌলিনহো-ফিরমিনহো, জেসুস-ফার্নান্দিনহো

কোস্টারিকা (৩-৪-২-১)

নাভাস, অ্যাকোস্তা, গঞ্জালেজ, দুয়ার্তে, অভেইডো, গুজমান, বর্গেস, গাম্বোয়া, ভেনেগাস, রুইজ, উরেনা

সাব : উরেনা-বোলানস, গাম্বোয়া-কালভো, গুজমেন-তেহেডা

প্রথমার্ধ

গোলশূণ্য অবস্থায় শেষ প্রথমার্ধ। চলতি বিশ্বকাপে বড়-ছোটর ব্যবধান যে আর নেই, সেটির আরো একটি প্রমাণ দেখা গেল এ আর্ধে। যদিও পজিশন থেকে শুরু করে সুযোগ তৈরি, সবখানেই কোস্টারিকার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ব্রাজিল, কিন্তু মূল যে কাজ সে গোলটিই কেউ করতে পারেনি। সে অর্থে পারেনি কোস্টারিকান গোলরক্ষক নাভাসের পরীক্ষাও নিতে। কৃতিত্বের দাবিদার কোস্টারিকান রক্ষণভাগও। তারাও বেশ দৃঢ় ভূমিকা রেখেছে ব্রাজিলের তারকাবহুল আক্রমণভাগকে গোলশূণ্য করে রাখতে। কর্ণার, ফ্রি-কিক থেকে শুরু করে গোল করার সব ধরনের সুযোগই পেয়েছিল ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু কাজে লাগেনি কিছুই। কোস্টারিকা কয়েকটি বিচ্ছিন্ন আক্রমণের চেষ্টা চালালেও তা থেমে গিয়েছে মধ্যপথেই। দেখার বিষয় হচ্ছে কোস্টারিকার এই রক্ষণনীতি ব্রাজিলকে কতক্ষণ আটকে রাখতে পারে।

দ্বিতীয়ার্ধ

শেষ ভাল যার সব ভাল তার। যোগ করা সময়ে দু’ গোলে প্রত্যাশিত জয় পেল ব্রাজিল। গোল পেলেন নেইমারও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলোয়াড় বদল করে তিতে বুঝিয়ে দেন জয়ের জন্য কতটা মরিয়া তিনি। কোচের মনোভাব ছিটকে বের হচ্ছিল খেলোয়াড়দের গা থেকেও। একের পর এক আক্রমণে পাগলপ্রায় করে তুলেছিল কোস্টারিকান রক্ষণের। কখনো ডিফেন্ডার, কখনো নাভাস, কখনো বা গোলবার; বাধা হয়ে দাড়াচ্ছিল কেউ না কেউ। নেইমারকে দেয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্তও বাতিল হয়ে যায় ভিএআর এ। শেষ পর্যন্ত যখন মনে হচ্ছিল কিছুতেই কিছু হবে না তখনই এলো সেই বহু কাঙ্খিত গোল, স্কোরার কৌতিনহো। আর ম্যাচটার শেষ হল ব্রাজিল সমর্থকদের সবচেয়ে কাঙ্খিতভাবে, নেইমারের গোলে। প্রথম ম্যাচের হতাশা ভুলে কক্ষপথে ফিরল ফেভারিটরা। ব্রাজিল কোস্টারিকাকে কতটা চেপে ধরেছিল, তা বোঝার জন্য একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট; কোস্টারিকার পোষ্টে মোট ২২টি শ্যুট নিয়েছে ব্রাজিলিয়ানরা। পাসিং অ্যাকুরেসির সফলতাও দেখার মত, ৯১ শতাংশ। ম্যাচ শেষে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, কক্ষপথেই রয়েছে তিতের ব্রাজিল।

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ : ফিলিপ কৌতিনহো (ব্রাজিল)